রাখাইনে নিপীড়ন, ৯ মাস পর তদন্ত কমিটির ঘোষণা


অনলাইন ডেস্কঃ রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংস ধরপাকড়ের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্তে একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার।

গত বছরের আগস্টের শেষ দিকে শুরু হওয়া ওই ধরপাকড়ে এক হাজার রোহিঙ্গা নিহত ও সাড়ে সাত লাখের বেশি প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

রাষ্ট্রহীন রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যাকাণ্ড ও নিপীড়নের পর জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমার।

বৃহস্পতিবার দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টের দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও আরসার সন্ত্রাসী হামলা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এ স্বাধীন কমিশন তদন্ত করবে।

উইন মিন্ট বলেন, নৃতাত্ত্বিক ও ধর্মীয়ভাবে বিভক্ত রাখাইনে মীমাংসা, শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে জাতীয় উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই কমিশন কাজ করবে।

একজন আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিসহ তিন সদস্য নিয়ে এই কমিশন গঠিত হবে। তাদের সহায়তা করবে ঘরোয়া, আন্তর্জাতিক ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।

মিয়ানমার প্রেসিডেন্টের বিবৃতিতে এর চেয়ে বেশি তথ্য দেয়া হয়নি। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর নিপীড়ন ও হত্যাকাণ্ডকে জাতিগত নির্মূলের জ্বলন্ত উদহারণ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘ।

এমনকি বাংলাদেশ আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা নিজ ভূমিতে ফিরে গেলে তাদের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো।

Post a Comment

Previous Post Next Post