বাধ্য হয়ে ইসরাইলে খেলতে যাচ্ছেন মেসিরা


স্পোর্টস ডেস্কঃ দুয়ারে কড়া নাড়ছে রাশিয়া বিশ্বকাপ। এ মুহূর্তে চূড়ান্ত প্রস্তুতি সারছে এতে টিকিট কাটা দলগুলো। ব্যতিক্রম নয় আর্জেন্টিনাও। জোরকদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে হাইতিকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে আর্জেন্টিনা। এ ম্যাচে আক্রমণভাগ শানিয়ে নেন কোচ হোর্হে সাম্পাওলি। আগামী ৯ জুন ইসরাইলের বিপক্ষে আবারও দলকে পরখ করে নেয়ার সুযোগ রয়েছে তার।

ওই দিন ইসরাইলের মাটিতে তাদের বিপক্ষেই লড়বেন লিওনেল মেসিরা। তবে সেখানে ম্যাচ খেলতে আগ্রহী ছিলেন না আর্জেন্টাইন কোচ! আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) জোর জবরদস্তির মুখে একরকম বাধ্য হয়েই দলবল নিয়ে যাচ্ছেন তিনি!

নেপথ্য কারণ হিসেবে ভাবা হচ্ছে ফিলিস্তিন-ইসরাইল দ্বন্দ্ব। দীর্ঘদিন ধরে অসহায়, নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্মম অত্যাচার চালিয়ে আসছে ইহুদিবাদী রাষ্ট্রটি। স্বাধিকার চাওয়া মুসলিমদের নির্বিচারে হত্যা করতেও পিছপা হচ্ছে না তারা। দিন যত যাচ্ছে তাদের আগ্রাসন ততই বাড়ছে।

অন্যায়-অত্যাচারে নিষ্পেষিত ফিলিস্তিনিরা তাই ইসরাইলের বিপক্ষে আর্জেন্টিনাকে ম্যাচ না খেলার অনুরোধ করেছিলেন। তবে তা তোয়াক্কা না করেই দেশটিতে মেসিদের খেলতে পাঠাচ্ছে এএফএ। কিন্তু তাতে সায় ছিল না আর্জেন্টাইন কোচের।

সরাসরি না বললেও সাম্পাওলির ভাষ্যতে তা স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। তিনি বলেন, ফুটবলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে আমি বার্সেলোনায় খেলতে চেয়েছিলাম। তবে অ্যাসোসিয়েশন সেখানে খেলতেই অটল থেকেছে। আমরা সেখানে খেলতে যাচ্ছি। তবে ম্যাচের মাত্র একদিন আগে যাব। সেটি খেলেই রাশিয়ার উদ্দেশে উড়াল দেব।

আর্জেন্টিনা-ইসরাইলের ম্যাচটি গড়াবে টেড্ডি স্টেডিয়ামে। কথিত আছে, ফিলিস্তিনিদের গুপ্তহত্যায় সেটি ব্যবহৃত হতো। এরই মধ্যে সেই ম্যাচের ২০ হাজার টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, এর বিপরীতে অনলাইনে আবেদন জমা পড়ে লক্ষাধিক।

Post a Comment

Previous Post Next Post