বাড়ানো হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা



অনলাইন ডেস্কঃ মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা ধাপে ধাপে নয়শ টাকা থেকে বাড়িয়ে দশ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। একই সঙ্গে এসব মুক্তিযোদ্ধাদের বছরে দুটি উৎসব ভাতা দেয়া হচ্ছে; যা মাসিক ভাতার সমপরিমাণ।

মন্ত্রী বলেন, বিনা পয়সায় মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সুবিধা প্রদানের জন্য শিগগিরই নতুন প্রকল্প নেয়া হচ্ছে।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী সংসদকে এই তথ্য জানান।

সাংসদের ওই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও বলেন, ভাতাভোগী মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার পাশাপাশি সংখ্যাও বেড়েছে। বর্তমানে ভাতাভোগীর সংখ্যা ১ লাখ থেকে ২ লাখে উন্নীত করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি পঙ্গুতের হার অনুযায়ী বিভিন্ন শ্রেণির যুদ্ধাহত, মৃত যুদ্ধাহত, শহীদ পরিবার ও বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ পরিবারের সদস্যদের মাসিক ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ শ্রেণির (পঙ্গুতের হার ৯৬-১০০ভাগ) মুক্তিযোদ্ধাদের ৩০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৪৫ হাজার টাকা, বি শ্রেণির (৬১-৯৫ভাগ) ২০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার, সি শ্রেণির (২০-৬০ভাগ) ১৬ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা, ডি শ্রেণির (১-১৯ ভাগ পঙ্গুত) ব্যক্তিদের ১৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।

এছাড়া শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ভাতা ১৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩০ হাজার, মৃত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ১৫ থেকে ২৫ হাজার এবং ৭ বীরশ্রেষ্ট শহীদ পরিবারকে ২৮ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে বলে জানায় আ ক ম মোজাম্মেল হক।

তাছাড়া খেতাবপ্রাপ্ত ৪ শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধাদের অনুকূলে ২০১৩ সাল থেকে ভাতা প্রদান শুরু করা হয়। বর্তমান তারা যে হার ভাতা পাচ্ছেন তার মধ্যে ৭ বীরশ্রেষ্টরা ১২ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা, ৬৮ বীরউত্তমকে ১০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা, বীরবিক্রম ১৭৫জনের অনুকূলে ৮ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা এবং ৪২৬ বীরপ্রতীকের অনুকূলে ৬ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার করা হয়েছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের বঙ্গবন্ধু ছাত্র বৃত্তি প্রদান, ভূমিহীন ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাসস্থান নির্মাণ প্রকল্পসহ নানা ধরণের কর্মসূচি বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এছাড়া শিগগিরই বিনা পয়সার চিকিৎসা সেবা প্রদান সংক্রান্ত প্রকল্প, মুক্তিযোদ্ধাদের বক্তব্য রেকর্ড ও সরক্ষণ প্রকল্প এবং সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের কবর একই ডিজাইন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post