সংবিধানের নতুন সংশোধনীর প্রক্রিয়া চলছে

সংবিধানের নতুন সংশোধনীর প্রক্রিয়া চলছে


অনলাইন ডেস্ক: সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন রাখার বিধানটির মেয়াদ বৃদ্ধি করে একটি সংবিধান সংশোধনী আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার।

সংবিধান অনুযায়ী, সংসদে এখন ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন রাখার বিধান রয়েছে এবং আগামী বছর জানুয়ারিতে এ বিধানের মেয়াদ শেষ হবে।

তবে তার আগেই সরকার অন্তত পরবর্তী চারটি সংসদের জন্য সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে সংবিধানে নতুন সংশোধনীর উদ্যোগ নিয়েছে।
আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে সংশোধনীর খসড়া নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। খবর বিবিসির।

মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেলে প্রস্তাবটি বিল আকারে সংসদে উত্থাপন করবে আইন মন্ত্রণালয়।

সংবিধান সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়াম লীগ সরকারের রয়েছে।

বর্তমান সরকারের আমলে সংবিধানের শেষ সংশোধনী আনা হয়েছিল ২০১৬ সালে যেটি ষোড়শ সংশোধনী হিসেবে পরিচিত। যদিও পরে সর্বোচ্চ আদালত ওই সংশোধনীকে অবৈধ বলে রায় দেয়। পুরো বিষয়টি নিয়ে তুমুল সরগরম হয়ে উঠেছিল রাজনৈতিক অঙ্গন।

তবে সপ্তদশ সংশোধনীকে নারী সদস্যদের মেয়াদ বাড়ানো ছাড়া আর কোনো বিষয় রয়েছে কিনা সেটি বিস্তারিত জানানো হয়নি সরকারের তরফ থেকে।

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল মতিন খসরু বলেন, বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষে নারী আসনের কার্যকারিতা থাকবে না। সে কারণেই সপ্তদশ সংশোধনী এনে ৫০ নারী সদস্য নির্বাচনের বিধান করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সংবিধানের বিধান অনুযায়ী সংসদ গঠিত হবে ৩০০ সরাসরি নির্বাচিত সদস্য ও ৫০ নারী সদস্যকে নিয়ে। সে কারণেই এটি করতে হবে। না হলে এটি পূর্ণাঙ্গ সংসদ হবে না।

কিন্তু এ সংশোধনীর সময়ে নারী সদস্যদের সংখ্যা বাড়ানোর সম্ভাবনা নেই বলেই জানান মিস্টার খসরু। যিনি এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের আইনমন্ত্রী ছিলেন।

কিন্তু এখন সরাসরি নির্বাচন না করে সংরক্ষিত আসনের মেয়াদ বাড়ানোর প্রয়োজন হচ্ছে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৩০০ সদস্যের মধ্যে নারী কেউ নির্বাচিত হলে ভালো। মোট জনসংখ্যার অর্ধেক হল নারী। সে কারণে নারীদের সংখ্যা বাড়ানো উচিত। তবে সব বড় দল থেকে নারীদের আরও বেশি মনোনয়ন দেয়া হলে সংসদে তাদের সংখ্যা বাড়বে।

Post a Comment

Previous Post Next Post