কমলগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত শ্রীসূর্য্য সরনদাশ রাস্ত বর্ষাকালে কাঁদায় ভরপুর থাকে। রাস্তা দিয়ে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় গ্রামবাসির। চেয়ারম্যান-মেম্বারদের দ্বারস্থ হয়েও রাস্তা সংস্কারে কোন বরাদ্ধ পাওয়া যায়নি। শ্রীসূর্য্য গ্রামের এক নারীর নেতৃত্বে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমে গ্রাম্য রাস্তা সংস্কার কাজ শুরু করেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শ্রীসূর্য্য গ্রামের নারী উদ্যোক্তা নাসরিন আক্তার এর নেতৃত্বে এলাকার দশ, বারো জন লোক স্বেচ্ছাশ্রমে প্রয়াত ইউপি সদস্য কামাল হোসেনের বাড়ি সংলগ্ন সরনদাশ সড়কে সংস্কার কাজ করছেন। রাস্তার পাশে ড্রেন নির্মাণ করে মাটি দিয়ে রাস্তা ভরাট কাজ চলছে। শমশেরনগর-কুলাউড়া সড়কের রেলগেট থেকে শ্রীসূর্য্য গ্রামের গোপাল দাশের বাড়ি পর্যন্ত সরনদাশের এই সড়কটি অবস্থিত। বর্ষায় সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে ও গর্ত হয়ে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ দেখা দেয়। নোয়াগাঁও, পূর্ব শ্রীসূর্য, পশ্চিম শ্রীসূর্য, টিকরপাড়া, টিলাগড়, উসমানগড় গ্রামের লোকজন এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। এলাকাবাসীর যাতায়াতের সুবিধার্তে প্রাচীনতম এই সড়কটি এলাকাবাসী স্বেচ্ছায় সংস্কার কাজ করেন।
গ্রামের নাসরিন আক্তার, কাসেম মিয়া ও নেছার আহমদ বলেন, পতনঊষার ইউনিয়নের আট ও নয় নম্বর ওয়ার্ডের সাত, আটটি গ্রামের লোকজন ও স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা সরনদাশের এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি সংস্কার কাজ করার জন্য চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের বার বার বলা সত্তেও কোন প্রকল্প বরাদ্ধ হয়নি। কাঁদা ও গর্তের মধ্যদিয়ে হাটবাজার ও স্কুল কলেজে যাতায়াতে গ্রামবাসীরা চরম দুর্ভোগ পোহান। ফলে বাধ্য হয়ে আমরা ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করে স্বেচ্ছাশ্রমে সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করেছি।
তারা আরও বলেন, ধারাবাহিকভাবে স্বেচ্ছাশ্রমে পুরো সড়কে কাজ করা হবে। পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগে সড়কে কাজের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান সহ বিভিন্ন স্থানে আবেদন করা হবে।
এ ব্যাপারে পতনঊষার ইউপি চেয়ারম্যান তওফিক আহমদ বাবু বলেন, সড়কের একটি কালভার্ট নির্মান করা হয়েছে। তাছাড়া মাঝামাঝি স্থানে মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এবং অন্যান্য ভাঙ্গা স্থান সমুহ পর্যায়ক্রমে সংস্কার করা হবে।
