দুঃখে মরে যাওয়া আদৌ সম্ভব কিনা জানালো বিজ্ঞান!

দুঃখে মরে যাওয়া আদৌ সম্ভব কিনা জানালো বিজ্ঞান!


অনলাইন ডেস্কঃ সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া, প্রিয়জন বিয়োগের যন্ত্রণা আমাদের সকলকেই সহ্য করতে হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই কষ্ট মানিয়ে নিলেও কিছু কিছু গভীর ক্ষত থেকেই যায় মনে।

যে মানসিক কষ্ট ধরা প়ড়ে শারীরিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে। যা মৃত্যুরও কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে জানাচ্ছেন মনোবিদরা।
এই ধরনের ঘটনার প্রবণতাকে চিকিত্সকরা তাকোতসুবো সিন্ড্রোম বা তাকুতসুবো কার্ডিওমিওপ্যাথি নামে চিহ্নিত করেছেন। জাপানি ভাষায় যার অর্থ অক্টোপাস ট্র্যাপ। অর্থাৎ যে পরিস্থিতি বা অবস্থা মানুষের হৃদপিণ্ডকে অক্টোপাসের মতো আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে। সাধারণ ভাবে হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে ধমনীতে ব্লাড ক্লট তৈরি হয়, যা রক্ত সঞ্চালনে বাধা দেয়। যার ফলে হৃদপিণ্ডে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়। কিন্তু তাকোতসুবো সিন্ড্রোমের ক্ষেত্রে প্রচুর ব্লাড ক্লট তৈরি হয়।

এ ক্ষেত্রেও শ্বাস ছোট হয়ে আসা, উচ্চ রক্তচাপ, বুকে ব্যথার মতো হার্ট অ্যাটাকের সাধরণ লক্ষণগুলোই দেখা দেয়।

২০০৫ সালে নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে এই ধরনের ১৯টি ঘটনা প্রকাশিত হয়। যার মধ্যে ১৮ জনই ছিলেন মহিলা। অতিরিক্ত ট্রমার কারণে রক্তে স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ হয়। যার ফলে হৃদপিণ্ডের পেশী দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সময় হার্ট দেখলে মনে হবে যেন নিংড়ে ছোট করে দেওয়া হয়েছে।
তাকোতসুবো সিন্ড্রোম যে কোনও সময় যে কোনও মানুষের ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রোগী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারলেও অনেক সময়ই সমস্যা ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। যে কোনও বয়সেই এই সমস্যা হলেও গবেষকরা জানাচ্ছেন, মূলত বয়স্ক মহিলাদের ক্ষেত্রেই তা সবচেয়ে গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে।

Post a Comment

Previous Post Next Post