কুলাউড়ার হামীম ও সাইদুলের দরিদ্রতাকে জয় করে জিপিএ-৫ লাভ

বিশেষ প্রতিনিধিঃ কৃষকের ঘরে জন্ম নিয়ে নিয়মিত পড়াশোনার মাধ্যমে দরিদ্রতাকে জয় করে জিপিএ ৫ পাওয়া মেধাবী সাইদুলের সাফল্য আর ছোটবেলা থেকে পিতার অনুপস্থিতিতে নানার বাড়ীতে বড় হওয়া মায়ের হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের জবাবে জিপিএ-৫ পাওয়া অপর মেধাবী হামীমের স্বপ্নীল শিক্ষা জীবনের গল্প। উভয় শিক্ষার্থীই বিগত কোন পাবলিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ না পেয়েও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় কুলাউড়া উপজেলার আলী আমজদ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে জিপিএ ৫ পায়। 
হামীম আহমদ: বানিজ্য শাখায় চলতি বছরের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে সাফল্য দেখায়, তার বাবা মোঃ আব্দুল হক ও মাতা পপি বেগম। পৃথিমপাশা গ্রামে তার বাড়ি। হামিম নিয়মিত ৭/৮ ঘন্টা লেখাপড়া করত। সে ভবিষ্যতে ইংরেজী সাহিত্যে পড়তে ইচ্ছুক। তার এ ফলাফলের পিছনে এক প্রতিক্রিয়ায় সে জানায়, প্রথমে মহান আল্লাহ পাকের অশেষ মেহের বানীতে আমার মায়ের অত্যন্ত পরিশ্রম ও বাবার অনুপ্রেরণা এবং শিক্ষক মন্ডলী ও গুরুজনদের সহযোগিতায় আমার এই ফলাফলের অন্যতম কারণ। 
সাইদুল ইসলাম: আলী আমজদ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের বানিজ্য শাখা থেকে চলতি বছরের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে সাফল্য অর্জন করে। তার বাবা মোঃ রইছ উল্যা পেশায় একজন কৃষক ও মাতা জায়েদা খাতুন একজন গৃহিনী। তার বাড়ি পৃথিমপাশা ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামে। ৬ ভাই ৪ বোনের মধ্যে সে অষ্টম। সে নিয়মিত ৫/৬ ঘন্টা লেখাপড়া করত। সে ভবিষ্যতে একজন আদর্শ শিক্ষক হতে চায়। তার এ ফলাফলের পিছনে বাবা, মা, ভাইবোন, শিক্ষক মন্ডলী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী চাচাতো ভাই জাহিদ হাসান সামাদ এর অনুপ্রেরণা রয়েছে বলে সে জানায়।

Post a Comment

Previous Post Next Post