স্টাফ রিপোর্টারঃ হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানের সহযোগী দেলোয়ার হোসেন রিপনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার রাত ১টা ৪০ মিনিট মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ব্রাম্মণবাজারের কোনাগাঁও গ্রামের নিজ বাড়ির পাশে রিপনের দাফন সম্পন্ন হয়।
রিপনের দাফন সম্পন্নের বিষয়টি নিশ্চিত করে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসোদ্দোহা পিপিএম প্রিয় কুলাউড়া ডটকমককে বলেন, রাত সাড়ে ১২ টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে রিপনের মরদেহ কোনাগাঁও গ্রামে নিয়ে আসা হয়। সেখানে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে রাত ১টা ২৫ মিনিটে তার জানাযার নামাজ ও ১টা ৪০ মিনিটে দাফন সম্পন্ন হয়।
এরআগে বুধবার রাত ১০টা ১ মিনিটে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে রিপনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ১০টা ৪০ মিনিটে রিপনের লাশ নিয়ে কুলাউড়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, কুলাউড়ার ব্রাহ্মণবাজারের কোনগাওয়ে স্থানীয় ইদাগহ মাঠে রিপনের জানাজার নামায পড়ান স্থানীয় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. ইব্রাহিম। বুধবার বিকেলেই রিপন কবর খোঁজা সম্পন্ন করে রাখা হয়। রাতে রিপনের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌছলেও পরিবারের সদস্য ও কয়েকজন ঘনিষ্টস্বজন ছাড়া কাউকে কাছাকাছি যেতে দেয়নি পুলিশ। ওই এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা জোরদারের জন্য বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়ন করা রয়েছে। প্রশাসনের ব্যাপক নজরদারিতে গ্রামের বাসিন্দারাও ভয়ে ঘর থেকে বের হন নি।
সিলেটে শাহজালাল (রহ.) এর মাজারের প্রধান ফটকে ২০০৪ সালের ২১ মে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর উপর গ্রেনেড হামলা মামলায় বুধবার রাতে মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল ওরফে বিপুল ও দেলওয়ার ওরফে রিপনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এদের মধ্যে রিপনের ফাঁসি সিলেট কারাগারে ও বাকী দু'জনের কাশিমপুর কারাগারে ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর তাদের বিরুদ্ধে মৃত্যিদন্ডের রায় প্রদান করে সিলেটের একটি আদালত।