নিউজ ডেস্কঃ তিস্তার পানি আসবেই, পানি কেউ আটকে রাখতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার ভারত সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিস্তার পানি নিয়ে এখন অনেকেই কথা বলেন; কিন্তু বিএনপি সরকারের আমলে গজলডোবা ব্যারেজ নির্মাণ হয়েছে। আজ অনেকেই চিৎকার করছেন, অথচ তখন তারা কিছু বলেননি। তিস্তার পানি প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য কি না—এ প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছি। তাঁকে বলেছি, অন্য নদীর পানিগুলো তারা নিজেরা নিয়ে তিস্তার পানি আমাদের দিন। এটা নিয়ে আলোচনা চলবে।’ তিনি বলেন, আমরা এ ব্যাপারে আলোচনা বহুদিন ধরে করছি। এবার মমতা বলেছেন আশেপাশের আরও কয়েকটি নদীকে সংযোগ করে পানি দেবেন। তিনি বলেছেন এটা নিয়ে স্টাডি করতে হবে। তখন এটা দীর্ঘসূত্রিতায় পড়ে যেতে পারে। তবে নরেন্দ্র মোদি স্পষ্ট বলেছেন- তার সরকারের আমলেই তিস্তা চুক্তি হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার ভারত সফরের মধ্য দিয়ে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে নতুন গতির সঞ্চার হয়েছে। ভারত সফরের আরকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- জঙ্গিবাদ দমনে ভারত-বাংলাদেশ ঐক্যমত্যে পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৭-১০ এপ্রিল পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে চার দিন ভারত সফর করেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে তার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর এটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি পর্যায়ে প্রথম ভারত সফর। প্রধানমন্ত্রী এর আগে ২০১০ সালের জানুয়ারিতে এক সরকারি সফরে ভারত যান। ২০১৫ সালে ফিরতি সফরে বাংলাদেশে আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এর আগে বিকাল সাড়ে ৪টায় সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বন্ধুপ্রতীম ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বিশেষ তাৎপর্যময়।’ এছাড়া ভারতে বিভিন্ন বৈঠক ও দ্বিপাক্ষিক আলোচনার বিষয়াদি উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্য পাঠ করতে গিয়ে তিনি জানান, এ সফরে ভারতের সঙ্গে ৩৫টি দলিল, ২৪টি সমঝোতা স্মারক ও ১১টি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। উল্লেখ্য, ভারতে চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে সোমবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী। ৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা ত্যাগ করেন।