কুলাউড়ায় চোরাই গাড়ী উদ্ধার, আটক ৪

কুলাউড়ায় চোরাই গাড়ী উদ্ধার, আটক ৪
স্টাফ রিপোর্টারঃ জেলার কুলাউড়ায় ৬দিন আগে চোরাইকৃত একটি সিএনজি অটোরিক্সা উদ্ধার এবং এর সাথে জড়িত ৪ চোরকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চোর চক্রকে আটকের তথ্য জানায় কুলাউড়া থানা পুলিশ। সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলো- সিলেটের জকিগঞ্জ থানার পীর নগর এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে ফয়ছল আহমদ (২৬), একই এলাকার (বর্তমানে সিলেট জালালাবাদ থানার কুমার পাড়া বাসষ্ট্যান্ড) এর বাসীন্দা আবুল কালামের ছেলে জাকির হোসেন (২৬), রাজনগর থানার উত্তর ভাগ এলাকার (বর্তমানে সিলেটের উপশহর থানার তেররতন) নিশি দেব এর ছেলে রিপন দেব ওরপে রিপন আহমদ (৩০), চুনারুঘাট থানার হাতুড়াকান্দি মৃত আব্দুল মোতালেবের ছেলে তাজুল ইসলাম (৩৫)।

বৃহস্পতিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চোর চক্রকে আটকের তথ্য জানায় কুলাউড়া থানা পুলিশ। গত ২৬ এপ্রিল এবং ২৭ এপ্রিল দুইদিনব্যাপি সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়েছে।

জানা যায়, গত ২২ এপ্রিল রাতের যে কোন এক সময়ে কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের পাল্লাকান্দি গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে আব্দুস সালামের বাড়ির গেটের তালা ভেঙ্গে তার গাড়ীটি নিয়ে যায়। এঘটনায় গাড়ির মালিক নিজে বাদী হয়ে গত ২৩ এপ্রিল থানায় একটি মামলা (নং-১৭) দায়ের করেন। পুলিশ এবং গাড়ির মালিক অনেক খোঁজাখোঁিজর এক পর্যায়ে মালিক আব্দুস সালামের প্রতিবেশী ফয়ছল আহমদ ১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে গাড়িটি পাওয়ার নিশ্চয়তা দিলে ফয়ছলের কথামতো সালাম সিলেট উপশহরে যান। সেখানে উপস্থিত জাকির হোসেন, রিপন ও ল্যাংড়া সাগর তাকে চোখ বেঁধে গাড়ির কাছে নিয়ে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা দিতে না পারায় সেখান থেকে খালি হাতে ফিরে কুলাউড়া থানা পুলিশকে জানালে ওসি (তদন্ত) বিনয় ভূষণ রায়ের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম প্রথমে গাড়ির মালিক আব্দুস সালামের প্রতিবেশী ফয়ছলকে পরবর্তিতে তার দেয়া তথ্যমতে সিলেট থেকে জাকির, রিপন এবং হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থেকে তাজুলকে আটক করা হয়। পরে রিপনের দেয়া তথ্যমতে হবিগঞ্জের শেরপুর বাসষ্ট্যান্ড থেকে চোরাইকৃত সিএনজি অটোরিক্সা উদ্ধার করে পুলিশ।

কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা (পিপিএম) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটককৃত আসামীরা আন্তঃজেলা যানবাহন চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনাগঞ্জ ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে গাড়ী চুরি করে পুনরায় গাড়ীর মালিকের কাছে কৌশলে লক্ষ লক্ষ টাকা গ্রহন পূর্বক মালিকদেরকে গাড়ী ফেরত দেওয়ার তালবাহানা করে। চোরাই গাড়ী বিক্রিয় বা মালিককে টাকার বিনিময়ে ফেরত প্রদান করা সম্ভব না হইলে গাড়ীর যন্ত্রাংশ খুলে আলাদা আলাদা ভাবে বিক্রয় করে। আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এর সাথে জড়িত বাকিদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post