নিউজ ডেস্কঃ গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তে হতাশা ঘিরে ধরেছিল সিলেট নগরীর ভাড়া বাসায় বসবাসকারী বাসিন্দাদের। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে মালিকরা বাসার ভাড়া বাড়িয়ে দেবেন এমন শঙ্কায় ছিলেন তারা। এক বছরে দুইবার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে ‘মরার উপর খড়ার ঘা’ বলেও মনে করছিলেন নিম্নআয়ের লোকজন। তবে ছয় মাসের জন্য গাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হাইকোর্ট স্থগিত করায় ‘আপাতত স্বস্তির’ নিঃশ্বাস ছেড়েছেন সিলেটের ভাড়া বাসায় থাকা ভাড়াটেরা।
জানা যায়, সিলেট নগরীর প্রায় ৪০ হাজার বাসায় ভাড়া থাকেন দুই লাখেরও বেশি মানুষ। আগামী মার্চ ও জুন মাসে দু’দফায় গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির খবরে এসব ভাড়াটেদের মধ্যে দেখা দেয় শঙ্কা। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সরকারি সিদ্ধান্তে এবার বাসার মালিকও ভাড়া বাড়িয়ে দেবেন এমন আশঙ্কায় ছিলেন তারা। অনেক মালিকই সরকারের এমন সিদ্ধান্তে মৌখিকভাবে বাসা ভাড়া বাড়ানোর কথা ভাড়াটেদের জানিয়েও দিয়েছিলেন।
নগরীর বোরহানবাগ এলাকার বাসিন্দা নুর ইসলাম বলেন, ‘এক বছরে দুই দফায় গ্যাসের দাম বৃদ্ধি অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত। আমরা নিম্নআয়ের মানুষরা এতে চরম বিপাকে পড়েছিলাম। তবে হাইকোর্টের আদেশের পর আপাতত স্বস্তিতে আছি।’
সিলেট নগরীর গোপালটিলা এলাকার ভাড়াটে এস আর শাওন বলেন, ‘আমরা সীমিত আয়ের মানুষ। বাজারে নিত্যপণ্যের মূল্য অনেক বেশি। এখন যদি গ্যাসের দাম বাড়তো, তবে বাসাভাড়াও বাড়িয়ে দিতেন মালিকপক্ষ। আমাদের পক্ষে জীবনযাপন তখন আরো অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়তো।’
প্রসঙ্গত, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন মার্চ মাস থেকে আবাসিক গ্যাসের মূল্য দেড়শ’ টাকা করে বাড়িয়ে একচুলা ৭৫০ টাকা ও দুই চুলা ৮শ’ টাকা নির্ধারণ করে। এছাড়া জুন মাস থেকে গ্রাহকদের আরো দেড়শ’ টাকা করে বেশি মূল্য পরিশোধ করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। তবে মঙ্গলবার হাইকোর্ট এমন সিদ্ধান্তে ছয় মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।