অনলাইন ডেস্কঃ এমএলএম প্রতিষ্ঠান ডেসটিনির দুই শীর্ষ কর্মকর্তাকে দুটি শর্তে জামিন দিয়েছে উচ্চ আদালত। এরা হলেন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন ও ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনের। এ জন্য তাদেরকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে ৩৫ লাখ গাছ বিক্রি করে দুই হাজার ৮০০ কোটি টাকা অথবা নগদ আড়াই হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে।
রবিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ডেসটিনির চেয়ারম্যান-এমডির পক্ষে শুনানি করেন আজমালুল হোসেন কিউসি। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান।
খুরশিদ আলম খান বলেন, আদালত ডেসটিনির এই টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জামা দিতে আদেশ দিয়েছে। এরপর দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান তা ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বণ্টন করবে।
ডেসটিনিকে এই গাছ বিক্রিতে ডেসটিনির এমডি ও চেয়ারম্যানকে সহযোগিতা করতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও কাসিমপুর কারাগারের জেলারকে সহযোগিতা করার আদেশও দিয়েছে আদালত।
গত ২০ জুলাই ডেসটিনির এমডি ও চেয়ারম্যানকে জামিন দেয় হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ। ওই জামিন শুনানি স্থগিত চেয়ে আপিল করে দুদক।
তিন হাজার ২৮৫ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে সাবেক সেনাপ্রধান ডেসটিনি গ্রুপের সভাপতি লে. জেনারেল (অব.) হারুন অর রশিদ ও ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ প্রতিষ্ঠানটির ২২ শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় পৃথক দুটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১৪ সালের ৪ মে এ দুই মামলায় অভিযোপত্র দেয় দুদক।
দুই মামলার মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ লি.-এর মামলার অভিযোগপত্রে এক হাজার ৮৬১ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
অপর মামলাটি হয় ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন নিয়ে। এই মামলার অভিযোগপত্রে ২১৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা আত্মসাৎ এবং পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ মামলার অভিযোগপত্রে আসামি করা হয় ৪৬ জনকে। ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন মামলার আসামি ১৯ জন। দুই মামলার অভিন্ন আসামি ১৪ জন। দুই মামলারই প্রধান আসামি রফিকুল আমিন। দুই মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে ১৫০ জনকে।