তখন আমার সেন্স ছিল না,আমি নির্দোষ: বদরুল

তখন আমার সেন্স ছিল না,আমি নির্দোষ: বদরুল
নিউজ ডেস্কঃ সিলেটে কলেজছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসের ওপর হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলম নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে সরকারপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) মফুর আলীর প্রশ্নের জবাবে বদরুল এমন দাবি করেন।

বদরুলের উদ্দেশে পিপি বলেন, ‘আপনার বিরুদ্ধে ৩২৬ ও ৩০৭ ধারায় চার্জ (অভিযোগ) গঠন করা হবে। আপনি কি দোষী?'

পিপির ওই প্রশ্নের জবাবে বদরুল বলেন, ‘তখন আমার সেন্স ছিল না। আমি অসুস্থ ছিলাম। দুই-তিন দিন পর আমি সুস্থ হলে বুঝি কাজটি ঠিক করি নাই।’

এর পর পিপি বদরুলের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি দোষী না নির্দোষ?’

‘আমি নির্দোষ’, বলেন বদরুল।

এর আগে মহানগর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট মফুর আলী আসামি বদরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করেন। শুনানি শেষে আদালত আসামি বদরুলের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০৭ ও ৩২৬ ধারায় অভিযোগটি গঠন করেন। এসময় আদালতে আসামি বদরুলের আইনজীবী এডভোকেট সাজ্জাদ জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে দেন।

গত ১৫ নভেম্বর বদরুলের বিরুদ্ধে প্রদানকৃত অভিযোগপত্র (চার্জশিট) গ্রহণ করেছিলেন সিলেট অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত। ওইদিনই আদালতের বিচারক উম্মে সরাবন তহুরা চার্জশিট গ্রহণ শেষে বিচার শুরুর জন্য ২৯ নভেম্বর পরবর্তী কার্যদিবস ধার্য করেছিলেন।

এর আগে গত ৮ নভেম্বর খাদিজা হত্যা চেষ্টা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট নগরীর শাহপরান থানার এসআই হারুনুর রশীদ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর ডিগ্রি (পাসকোর্স) দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা দিতে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা। বিকেলে পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক বদরুল আলম (২৭)। পরে অন্য শিক্ষার্থীরা তাঁকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন।

এ ঘটনায় খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে বদরুলকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এর পর গত ৫ অক্টোবর বদরুল সিলেটের আদালতে খাদিজার ওপর হামলার দায় স্বীকার করে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন বদরুল। জবানবন্দিতে তিনি বলেন, আট বছর ধরে খাদিজাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন তিনি। প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে শেষ পর্যন্ত তাঁর ওপর হামলা চালান। পরে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।

ঘটনার দিন গুরুতর আহত অবস্থায় খাদিজাকে প্রথমে সিলেটে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ৪ অক্টোবর (মঙ্গলবার) তাঁকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। স্কয়ার হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে ফিজিওথেরাপির জন্য সোমবার সকালে সিআরপিতে নেয়া হয়েছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post