কুলাউড়ায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে অনিয়মের অভিযোগ

কুলাউড়ায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে অনিয়মের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টারঃ দেশের নানা উন্নয়নে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে বর্তমান সরকার কিছু প্রশংসনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তার মধ্যে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি হতদরিদ্রদের মাঝে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ। গত ৫ সেপ্টেম্বর খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধান কমিটির সভায় এ কর্মসূচি ঘোষনার পর গত ৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুড়িগ্রামের চিলমারিতে এর উদ্ভোধন করেন।

এদিকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার পৃথিমপাশা ইউনিয়নে হতদরিদ্রের পরিবর্তে প্রবাসী, ব্যবসায়ী, মধ্যবিত্ত ও বয়স্কভাতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা ১০ টাকা কেজি দরে চাল কিনছেন। বঞ্চিত হচ্ছে ঐ এলাকার হতদরিদ্র পরিবার। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির উপজেলা কমিটিতে লিখিত অভিযোগ প্রদান করে কোন সুরাহা পাচ্ছেনা তারা। স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের দৈন্যতায় এবং তার মনস্থ ব্যক্তিদের দিয়ে তিনি এ তালিকা করেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয় হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যদের।
জানা যায়, উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সোহেল চৌধুরী হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যদের নাম না দিয়ে ব্যবসায়ী খালিক মিয়া, চিনু মিয়া, মামত মিয়া, প্রবাসী হাসমত মিয়া, প্রবাস ফেরত মকবুল মিয়া, বয়স্কভাতাপ্রাপ্ত জবুর মিয়া, লোকমান মিয়া, ময়না মিয়া, বাচ্চু মিয়া, মুক্তিযুদ্ধের ভাতাপ্রাপ্ত লতিফ মিয়া প্রমুখকে থাদ্যবান্ধব তালিকায় যুক্ত করে কার্ড প্রদান করেন। গত শনিবার (১৫ অক্টোবর) ইউনিয়নে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণের সময় ঐ এলাকার হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যরা এসে প্রতিবাদ করে। পরে এর প্রতিকার চেয়ে উপজেলা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’র কমিটির কাছে স্থানীয় আইয়ুব আলী, গোলাপ মিয়া, আ: রহমান, মতলিব মিয়া, শহিদ মিয়া, রহিম মিয়া, মবশি^র আহমদ লিখিত অভিযোগ করে।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য সোহেল চৌধুরী জানান, আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর বয়স্কভাতা কিংবা অন্যান্যভাতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের তালিকা দেখি নি। এতে যদি কারো নাম ১০ টাকা কেজি কর্মসুচিতে ভূলবশত লিখা হয় আমি যাচাই করে তা সংশোধন করবো।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান নবাব আলী বাকর খান হাসনাইন জানান, হতদরিদ্রদের অভিযোগ জেনেছি। সত্যতা মিললে বিহিত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির উপজেলা যাচাই কমিটির দায়িত্বে থাকা সেলিনা ইয়াছমিন জানান, অভিযোগ পেয়েছি। যথাযথভাবে এই বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কর্মসূচির নীতিমালা সূত্রে জানা যায়, দেশের প্রত্যেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি কমিটি আছে। সেখানে জনপ্রতিনিধিরাও রয়েছেন। তাঁরাই হতদরিদ্র পরিবারের সংখ্যা ঠিক করে তাদের কার্ড দিবেন। খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়ার ক্ষেত্রে ডিলারদের কাছে ওই চাল সাড়ে আট টাকা কেজি দরে দেওয়া হয়। তাঁরা হতদরিদ্রদের কার্ডের ভিত্তিতে ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেবেন। এক্ষেত্রে বিধবা ও প্রতিবন্ধী নারীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়। সরকারী ভাতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি এ কর্মসূচির আওতাধীন নয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post