সচল হচ্ছে এমসি কলেজের সেই ছাত্রবাস

সচল হচ্ছে এমসি কলেজের সেই ছাত্রবাস
অনলাইন ডেস্কঃ ২০১২ সালে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিলো সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মুরারী চাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্রাবাস। এরপর পুণনির্মান হলেও পুণরায় সংঘাতের ভয়ে এতোদিন ছাত্র ওঠানো হয়নি এই ছাত্রাবাসে। অবশেষে চার বছর পর সেই ছাত্রাবাসটি ফের মুখরিত হবে ছাত্রদের উপস্থিতিতে।

আগামী ১ অক্টোবর থেকে এই ছাত্রবাসে ওঠবেন ২৪৪ জন শিক্ষার্থী। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থী তোলার সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। চুড়ান্ত করা হয়েছে ২৪৪ শিক্ষার্থীকেও।

অগ্নিসংযোগের পর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের প্রচেষ্ঠায় ছাত্রাবাসটি পুণনির্মান করে ২০১৪ সালে উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনেরও প্রায় ২৩ মাস পর ওই ছাত্রাবাসে শিক্ষার্থী ওঠানো হচ্ছে।

এমসি কলেজের অধ্যক্ষ নিতাই চন্দ্র চন্দ বলেন, এই ছঅত্রাবাসে ছাত্র ওঠানোর সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এবার কোনো ধরনের তদবির, প্রভাবে ছাত্রাবাসে কারো জায়গা হয়নি। মেধার ভিত্তিতে আসন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আগামী ১ অক্টোবর থেকে ছাত্রাবাসে ওঠবে শিক্ষার্থীরা।

তিনি বলেন, প্রায় ৯ লাখ টাকা অনাদায়ী বিলের কারণে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় উদ্বোধনের পরও ছাত্র তোলা যায়নি। সম্প্রতি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর এই বকেয়া বিল পরিশোধ করায় ছাত্রাবাসটি খুলে দেয়ার পথ সুগম হয়। ফলে এবার ছাত্রাবাসটি চালু করা হচ্ছে।

জানা যায়, ২০১২ সালের ৮ জুলাই শিবিরের সাথে সংঘর্ষের জেরে পেট্রোল ঢেলে শতবর্ষী এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে আগুন ধরিয়ে দেয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এতে ছাত্রাবাসের তিনটি ব্লকের ৪২টি কক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্থ হয় আরোও ৭০টি কক্ষ। ঘটনার পর পুড়ে যাওয়া ছাত্রাবাসের স্থলে পুরনো আদলেই নতুন করে ছাত্রাবাস নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১২ সালের ৫ ডিসেম্বর ছাত্রাবাস সংস্কার ও পুনঃনির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। ছাত্রাবাস পুনঃনির্মাণ ও সংস্কার কাজে ব্যয় হয় প্রায় ৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর ছাত্রাবাসটির সংস্কার শেষে পুনরায় উদ্বোধন করা হয়।

গত জুন মাস থেকে ছাত্রাবাসের জন্য শিক্ষার্থী ওঠাতে উদ্যোগ গ্রহণ করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ লক্ষ্যে প্রকাশ করা হয় বিজ্ঞপ্তি। এরপর ছাত্রাবাসে থাকতে ইচ্ছুক আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেধা তালিকানুসারে ২৪৪ জনকে নির্ধারণ করা হয়। গত ১৯ সেপ্টেম্বর এসব শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ছাত্রাবাসের ৬টি ব্লকে এসব শিক্ষার্থী ওঠানো হবে। ২৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মনোনীত শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ করতে হবে বলে জানিয়েছেন কলেজ অধ্যক্ষ।

Post a Comment

Previous Post Next Post