অনলাইন ডেস্কঃ
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষকদের নিজ নিজ উপজেলাতেই নিয়োগ দেয়া
হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেছেন নিয়োগের
ক্ষেত্রে স্কুল, কলেজ বা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বা সভাপতির কোনো হস্তক্ষেপ
থাকবে না। শনিবার সকালে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ
(এনটিআরসিএ) আয়োজিত ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ঢাকা কলেজ কেন্দ্র
পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী
বলেন, শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা নিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ আছে। কিন্তু এবারই
প্রথম আমরা পিএসসি’র (পাবলিক সার্ভিস কমিশন) মত একটি মানসম্মত উপায়ে
পরীক্ষা নিচ্ছি। এক্ষেত্রে প্রথম প্রিলিমিনারি টেস্ট হয়েছে। এখন লিখিত
পরীক্ষা হচ্ছে। এরপর ১৫ দিনের মধ্যে রেজাল্ট দিয়ে মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, আগামী অক্টোবরে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
এক
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সারা দেশের স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও সমপর্যায়ের
কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শূন্য পদে ১৫ হাজার শিক্ষকের চাহিদা পেয়েছে
এনটিআরসিএ। এ প্রেক্ষিতে জারি করা প্রজ্ঞাপনে অনলাইনে ১৩ লাখ আবেদন জমা
পড়েছে। এসব আবেদন যাচাই বাছাই শেষে শূন্য পদের বিপরীতে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া
হবে। ফলাফল প্রকাশের সময় সম্পূর্ণ অনলাইনেই নিয়োগপ্রাপ্তদের জানিয়ে দেওয়া
হবে, সে কোথায় নিয়োগ পেলেন। কাজেই এখানে ঘুষ বা দুর্নীতির কোনো সুযোগ
থাকবে না। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ করার কোনো
সুযোগ নেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের
নিয়োগপত্র ইস্যু করবেন।
মন্ত্রী
বলেন, সারা দেশে ৩৭ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিচ্ছিন্নভাবে ৩৭ হাজার
কমিটির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ করা হতো। এসব নিয়োগের ক্ষেত্রে অনেক বিড়ম্বনার
খবর পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। তাই মানসম্মত একটি পরীক্ষার মাধ্যমে
আমরা যোগ্য শিক্ষক বাছাই করতে চাই। এতে যারা নিয়োগ পাবেন, তারাও সম্মানিত
বোধ করবেন, যে তারা একটি ভাল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এসেছেন।
নুরুল
ইসলাম নাহিদ বলেন, এবার সারাদেশ থেকে প্রিলিমিনারিতে ৬ লাখ ২ হাজার ৫৩৩ জন
প্রার্থী স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও টেকনিক্যালের পদের জন্য আবেদন করেছিলেন।
এর মধ্যে মাধ্যমিক ও সমমানের জন্য ১২ আগস্ট ৯০ হাজার ৯৪ জন বাছাইকৃত
পরীক্ষার্থীর লিখিত পরীক্ষা হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের ৫৫ হাজার ৬৯৮
বাছাইকৃত প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিলেন।
সাংবাদিকদের
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা সরকারকে শিক্ষকের চাহিদা না দিয়ে
অস্থায়ী শিক্ষকদের দিয়ে কার্যক্রম চালাবেন, সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে
আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ
সময় সময় উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, এনটিআরসিএ এর
চেয়ারম্যান এএমএম আজহার, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন
মোল্লাহ প্রমুখ।