শাকিল সিদ্দিকী খালেদঃ ভাটেরা স্কুল এন্ড কলেজের রসায়ন বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আশুতোষ দেবের সড়ক দূর্ঘটনার অকাল মৃত্যু ও অফিস সহকারী ফজলুল করিম ফজিরের গুরুত আহত হবার প্রতিবাদে ও কুলাউড়া সরকারী হাসপাতালের অনিয়ম ও প্রাথমিক চিকিৎসায় অবহেলা এবং ঘাতক চালককে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবিতে ৭আগষ্ট ভাটেরা স্কুল এন্ড কলেজ পরিবারের ব্যানারে এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়। ভাটেরা স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক,কর্মচারী ও ছাত্র/ছাত্রীবৃন্দের আয়োজনে বিশাল মানববন্ধনে সিনিয়র শিক্ষক এম বশিরুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইব্রাহিম তালুকদার। তিনি অত্র প্রতিষ্টানের পক্ষে প্রশাসনকে ৭ দিনের সময়সীমা বেধে দেন। তিনি বলেন, ৭ দিনের মধ্যে ঘাতক চালককে বিচারের আওতায় না আনলে আমরা কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।
তিনি কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্হ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক ও চিকিৎসা ব্যবহার ভৎর্সনা করে বলেন, তাদের অনিয়ম ও চিকিৎসায় অবহেলায় যাতে আর কোন রুগী বিনা চিকিৎসায় মারা না যান সেই দিকে লক্ষ্য রাখার আহব্বান জানান। এ সময় স্কুল এন্ড কলেজ শাখার শত শত ছাত্রছাত্রী প্রধান পাকা রাস্তার দু`পাশে দাড়িয়ে প্রতিবাদ জানায়। উক্ত মানববন্ধনে অন্যানোর মধ্যে উপস্তিত ছিলেন ভাটেরা স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক ফখরুল ইসলাম, আব্দুল মালিক, প্রভাষক অনিরুদ্ধ বিশ্বাস, শিবানী চক্রবর্তী, ওয়াদুদ কাশেম, উত্তম দাশ, কল্লোল দাশ, শফিকুল হক, কিশোর চক্রবর্তী, সিনিয়র শিক্ষক হামিদ খন, আব্দুল কাদির, আব্দুল মজিদ, সহকারী শিক্ষক কানন চক্রবর্তী, আব্দুস সামাদ, ঝুনু দাস, জাবেদ আলী, জহিরুল ইসলাম, কামরান চৌধুরী, শাহিন আহমদ, শহিদুল ইসলাম, কুলছুমা খানম, নিবেদিতা গোস্বামী, খালেদা খানম প্রমূখ। উল্লেখ্য,গত ৩ আগষ্ট মোটরসাইকেল যুগে কুলাউড়ায় যাবার পথে একটি বেপরোয়া গাড়ি চালকের ধাক্বায় ভাটেরা স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক, কুলাউড়া মাগুরাস্ত নিবাসী অশুতোষ দেবের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। তার সাথে ছিলেন অত্র প্রতিষ্টানের অফিস সহকারী, ভাটেরা ভবানীপুর গ্রামের ফজলুল করিম ফজির তিনিও গুরুতর আহত হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা গ্রীন হসপিটালে ভর্তি আছেন।