কাওছার,জবি:২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যাশায় “ক্ষুধার কাছে পরাজয় নয় বরং ক্ষুধাকে পরাজিত করার সুযোগ দাও” এই প্রত্যয়ে ইয়ূথ এগেইনস্ট হাঙ্গারের সদস্যরা একটি সমৃদ্ধ ও আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গঠনে তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
যুব সমাজের আত্মশক্তিকে বিকশিত করে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইয়ূথ এগেইনস্ট হাঙ্গারের সদস্যরা বদ্ধ পরিকর। এরই ধারাবাহিতায় ইয়ূথ এগেইনস্ট হাঙ্গার "হিরোশিমার শিক্ষা" এই প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্র প্রদর্শনী ও কুইজ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ইকবাল রোডে অবস্থিত YWCA Junior Girls' High School এ গত ০৪ ই আগস্ট ২০১৬ তারিখে হিরোশিমা দিবস ২০১৬ পালন করে।
প্রতিযোগিতায় বিদ্যালয়ের ৯ম ও ১০ম শ্রেণীর প্রায় ৭০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের সনদপত্র ও পুরস্কার প্রদান করা হয়। রচনা প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অধিকার করেন নবম শ্রেণীর সুস্মিতা মমতাজ রিম্পা, ২য় স্থান অধিকার করেন দশম শ্রেণীর আমেনা আমির ও ৩য় স্থান অধিকার করেন দশম শ্রেণীর খ্রীষ্টিনা লরিন। কুইজ প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অধিকার করেন দশম শ্রেণীর সাদিয়া প্রিয়া, ২য় স্থান অধিকার করেন নবম শ্রেণীর শারদীয়া দত্ত ও ৩য় স্থান অধিকার করেন দশম শ্রেণীর লামিয়া তাসনিম।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা জেসমিন দিনা রয়; সৈয়দা ইয়াসিন পান্না, ফাইনান্স ডিরেক্টর, হাঙ্গার ফ্রি ওয়াল্ড, সোহেল রানা, প্রোগ্রাম অফিসার হাঙ্গার ফ্রি ওয়াল্ড; আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম কাফি, সভাপতি, ইয়ূথ এগেইনস্ট হাঙ্গার, জাতীয় কমিটি এবং ইয়ূথ লিডার শিফাত, তন্ময়, শাফকাত, মুতাকাব্বির ও ফায়েদ।
যুদ্ধ মানেই ধবংস এই বিষয়ে বোধ হয় কেউ দ্বিমত পোষণ করবেন না। গোষ্ঠীতে, জাতিতে এবং একদেশ অন্যদেশের সাথে অনেক যুদ্ধ হয়েছে সমাধানের আশায়। কিন্তু যুদ্ধ কোনো সমাধান হতে পারে না। আর যদি তার মধ্যে থেকে সমাধান এসেও থাকে তাহলে তা হয়েছে অপরিমেয় ক্ষয়ক্ষতির মধ্য দিয়ে।
বিশেষজ্ঞদের মতে যুদ্ধের ইতিহাস থেকে বলা যায় যে ক্ষমতা দখল,শ্রেষ্ঠত্বের প্রকাশ, ঘৃনা, সম্পদ আত্মসাৎ, অসহনশীলতাই ছিল যুদ্ধের মূলকারণ।
যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতির একটি উদাহরণ দেওয়া যাক।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ছিল এই পর্যন্ত সবচেয়ে ভয়ানক যুদ্ধ। এর পরিনাম ছিল ৮০ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু যার মধ্যে ৫০ মিলিয়নই ছিল সাধারণ মানুষ।
এছাড়াও দিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতার একটি জলন্ত উদাহরণ হলো জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকি। জাপানের হিরোশিমা নগরে ১৯৪৫ সালের ৬ অগাস্ট যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমান এনোলা গে থেকে ‘লিটল বয়’ নামের পারমাণবিক বোমাটি ফেলা হয়েছিল। আর আগস্টের ৯ তারিখে পাশের শহর নাগাসাকিতে ফেলা হয় ‘ফ্যাট ম্যান’ নামের আরেকটি পারমাণবিক বোমা। এতে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ নিহত হয় এবং রেডিয়েশনের কারণে আজও সেখানে প্রতিবন্ধী সন্তানের জন্ম হচ্ছে।
এ চরম নিষ্ঠুরতা দেখে যেন মুহূর্তের মধ্যে থমকে গিয়েছিল গোটা পৃথিবী। এই সকল ভয়াবহতার দৃষ্টান্ত আমাদের ভাবতে শিখিয়েছে কিভাবে শান্তিপূর্ন পৃথিবী গড়ে তোলা যায়। সেই ভাবনায় জন্ম নিয়েছে UN (জাতিসংঘ), NPT এর মত সংস্থা।
গত দশকে জাতিসংঘ বহু সংঘাতের শান্তিপূর্ন সমাধান করেছে। যেখানে প্রয়োজনে সৈন্য পাঠিয়ে সাধারণ মানুষকে জীবনের নিরাপত্তা দিয়েছে। দেশের অভ্যন্তরীণ সংঘাত মিটাতেও ভূমিকা রেখেছে এবং একটি সুষ্ঠ শান্তিপূর্ন পৃথিবী গড়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। অন্যদিকে NPT পারমানবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের জন্য সকল রাষ্ট্রের মাঝে একটা চুক্তি করেছে। ১৯১ টি দেশ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে