স্টাফ রিপোর্টারঃ আর মাত্র ৪-৫ দিন পরই মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদুল ফিতরের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে কুলাউড়া পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বৃহৎ ঈদগাহগুলো। পৌর শহর ও বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রধান প্রধান ঈদগাহে বর্তমানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, রং-চুন দেওয়া ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চলছে। কুলাউড়া শহরের প্রধান ঈদের জামাত মনসুর শাহি ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের দিন সকাল ৯টায় ওই জামাতে ইমামতি করবেন মাও. আবদুর রহিম। মনসুর ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কাদিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মুকিম উদ্দিন আহমদ জানান, ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাতের জন্য প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদগাহ ময়দানের সংস্কার ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তবে অতিবৃষ্টি হলে তাৎক্ষণিক সময়ের কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে বলে নিজ নিজ এলাকার ঈদগাহ কমিটির দায়িত্বশীলরা জানান। শহর ও ১৩ ইউনিয়নের প্রধান প্রধান জামাত কুলাউড়া পৌরসভার উত্তরবাজার মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়। নামাজে ইমামতি করবেন মসজিদের খতিব মাওলানা মাহমুদুর রহমান ইমরান। কুলাউড়া উপজেলা কোর্ট মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়। রেলওয়ে শাহি ঈদগাহে ঈদের জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ওই জামাতে ইমামতি করবেন মসজিদের খতিব মাও. আবু আইয়ুব আনসারী। দক্ষিণবাজার মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়। নামাজে ইমামতি করবেন মাও. মুফতি ফয়জুর রহমান। উছলাপাড়া-আলালপুর হাফিজ আপ্তাব খান জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। নামাজে ইমামতি করবেন হাফিজ মাও. মহসিন খান। লস্করপুর শাহি ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়। নামাজে ইমামতি করবেন মাও. তাজ উদ্দিন। এদিকে কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত নাজিরের চক শাহি ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়। নামাজে ইমামতি করাবেন মুফতি মাও. দেলোয়ার হোসেন। পূর্ব প্রতাবী শাহি ঈদগাহ, পশ্চিম প্রতাবী ঈদগাহ ও লক্ষ্মীপুর ঈদগাহে ঈদের বৃহৎ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। পৃথিমপাশা ইউনিয়নে সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত রবিরবাজার মসজিদ-সংলগ্ন শাহি ঈদগাহে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ওই জামাতে ইমামতি করবেন আলহাজ মাও. মো. আবদুল জব্বার। সুলতানপুর শাহি ঈদগাহে ঈদের জামাত সকাল সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন মাও. আবদুল মছব্বির। সম্মান শাহি ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন মাও. নুরুল আমীন আনোয়ারী। তাছাড়া নবাববাড়ি মসজিদে সকাল ১০টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। টিলাগাঁও ইউনিয়নে সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত বাংলাটিলা শাহি ঈদগাহে সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। কর্মধা ইউনিয়নের প্রধান ঈদের জামাত সকাল ১০টায় ঐতিহ্যবাহী মনসুরপুর শাহি ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন মাও. ইয়াছিন আলী। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে নলডরী ঈদগাহ ময়দানে। রাউৎগাঁও ইউনিয়নে ঈদের জামাত নর্তন সৈয়দবাড়ি ঈদগাহে, রাউৎগাঁও শাহি ঈদগাহে ও চৌধুরীবাজার শাহি ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে। জয়চণ্ডী ইউনিয়নে প্রধান দুটি ঈদের জামাত উত্তর সাদীপুর ঈদগাহ ও মীরশংকর শাহি ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে। ভূকশিমইলে ঈদের জামাত গৌড়করণ শাহি ঈদগাহ, ভূকশিমইল শাহি ঈদগাহ, মোহাম্মদী শাহি ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। কাদিপুর ইউনিয়নে ঈদের জামাত কৌলারশি শাহি ঈদগাহ, আমতৈল শাহি ঈদগাহ ও হুসনপুর শাহি ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে। ভাটেরা ইউনিয়নে প্রধান প্রধান ঈদের জামাত পাঁচগাঁও শাহি ঈদগাহ তুলাপুর, ভাটেরা শাহি ঈদগাহ ও জামতলা ফুটবল খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। বরমচাল ইউনিয়নে ঈদের জামাত মাধবপুর শাহি ঈদগাহ, শাহ কালা (রহ.) শাহি ঈদগাহ ও মহালাল শাহি ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে। ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নে সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত ব্রাহ্মণবাজার শাহি ঈদগাহ ময়দানে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন মাও. আবদুল কুদ্দুছ সিদ্দিকী। তাছাড়া শ্রীপুর বাজার শাহি ঈদগাহ ও মির্জাপুর শাহি ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। হাজীপুর ইউনিয়নে কটারকোনা হোসেনিয়া শাহি ঈদগাহ, পীরের বাজার শাহি ঈদগাহ ও পাইকপাড়া ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। শরীফপুর ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর শাহি ঈদগাহ, লালারচক শাহি ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।