স্টাফ রিপোর্টারঃ
বাংলাদেশের সবচেয়ে বর্ণাঢ্য ও প্রাচীণতম ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের
কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাবার এক বছর অতিবাহিত করলেন
মৌলভীবাজার তথা বৃহত্তর সিলেটের রত্নসন্তান এস এম জাকির হোসাইন। গত এক বছরে
সবচেয়ে তাৎপর্যকর দিক হলো সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নেবার পর থেকে
ছাত্র সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগের ও একজন প্রকৃত নেতা হিসেবে নিজের জনপ্রিয়তা ও
গ্রহণযোগ্যতা সবসময়ই উর্ধ্বমূখি ছিল। ছাত্রলীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের
মধ্যে গত একটি বছরে যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দিপনার সৃষ্টি হয়েছে তা সুস্থ্য
রাজনীতির অঙ্গনে নিঃসন্দেহে একটি যুগান্তকারী মাইলফলক হয়ে যে থাকবে তা
অনায়াশেই বলা যায়।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৫ ও ২৬ জুলাই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৮তম সম্মেলনে সারা বাংলাদেশ থেকে অংশ নেওয়া ছাত্রলীগের কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্র ও মৌলভীবাজারের জুড়ী তথা বৃহত্তর সিলেটের রত্নসন্তান এস এম জাকির হোসাইন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৫ ও ২৬ জুলাই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৮তম সম্মেলনে সারা বাংলাদেশ থেকে অংশ নেওয়া ছাত্রলীগের কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্র ও মৌলভীবাজারের জুড়ী তথা বৃহত্তর সিলেটের রত্নসন্তান এস এম জাকির হোসাইন।
দায়িত্ব
পাওয়ার পর গত একবছর ধরে জাকির হোসাইন কাজ করে যাচ্ছেন সারাদেশব্যাপী ছাত্র
রাজনীতিতে নতুন গতি সঞ্চার করতে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিনিয়ত দিয়ে যাচ্ছেন
নানা কর্মসুচী আর বিভিন্ন ইউনিটে চালিয়ে যাচ্ছেন বর্ধিত সভা ও কর্মশালা।
এগুলোর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তিনি কুড়িয়েছেন সফলতা।
সারাদেশকে
নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি সিলেটের সন্তান হিসেবে জাকির সিলেটবাসীকে দিয়ে
যাচ্ছেন একের পর এক উপহার। যার উদাহরন কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে শুরু করে
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিটি প্রভাবশালি ইউনিটেই তিনি গুরুত্বপুর্ন পদে
বসিয়েছেন সিলেটিদের। এমনকি প্রবাসে ছাত্রলীগের বেশিরভাগ ইউনিটেরই
গুরুদায়িত্ব সিলেটিদের হাতে। যা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৬৮ বছরের ইতিহাসে
বিরল। উপহারের পাশাপাশি সিলেটে ছাত্রলীগকে স্বচ্ছ রাখতে নিয়েছেন বেশ কিছু
কঠিন সিদ্ধান্তও। নেতাকর্মীরা গঠনতন্ত্র বিরোধী কোন কাজে কিংবা অকারনে
বিরোধে জড়ালে পেয়েছেন শাস্তি। যার দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রায় ৪মাস ধরে স্থগিত
রাখা হয়েছে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের কমিটি।
সম্প্রতি
আবার এক ঘটনায় স্থগিত কমিটির ৪জন সহ মোট ৮জন কে করেছেন সাময়িক বহিষ্কার।
এরআগে জেলা ছাত্রলীগের ২ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন সাময়িক বহিষ্কৃত।
সিলেটে ছাত্রলীগের রাজনীতিকে চাঙ্গা করে রাখতে সুযোগ পেলেই সিলেট সফর
করেছেন। করেছেন কর্মী সভা, বর্ধিত সভাসহ বেশ কিছু কর্মসুচী।
বাবার সাথে এস এম জাকির হোসাইন |
এস এম জাকির হোসাইন বলেন, "গত একটি বছর ধরে নতুন করে আমাদের পথ চলা শুরু হয়েছে। এই চলার পথে পেয়েছি অনেক মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা, যার মূল্য দেওয়ার সামর্থ্য সৃষ্টিকর্তা আমাদের দেননি। এসব ভালোবাসাই আমাদের চলার পথের পাথেয়। নিরবিচ্ছিন্ন সমর্থন আমাদের শক্তি। দেশরত্ম শেখ হাসিনা ক্ষুধা, দারিদ্র্য মুক্ত, জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদ মুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে যে যাত্রা শুরু করেছেন সামনের দিনগুলোতে সেই যাত্রার সারথি হয়ে হাতে হাত রেখে কাঁধে কাঁধ রেখে সামনে এগিয়ে যাবো। জয় আমাদের সুনিশ্চিত।
আর
সিলেট নিয়ে তিনি বলেন, সিলেটে ছাত্রলীগের অবস্থান সারাদেশে প্রশংসিত।
সিলেটের প্রতিটি নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার ভিশন ২০২১
বাস্তবায়নে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখবে।"