অনলাইন ডেস্কঃ পাকিস্তানের কোয়েটা শহরের ৪৬ বছর বয়সী সরদার জান মোহাম্মদ খিলজি বর্তমানে ৩৫ সন্তানের পিতা। তার টার্গেট ১০০ সন্তানের বাবা হওয়া। তার তিন স্ত্রী। চার নম্বর বিবির সন্ধানে আছেন তিনি।
জান মোহাম্মদ মনে করেন সন্তান জন্মদান ধর্মীয় দায়িত্ব। তাই যত বেশি সম্ভব সন্তান জন্ম দিতে চান তিনি। কিন্তু কোয়েটার মতো এলাকায় বহুবিবাহের রীতি প্রচলিত নয়। বর্তমানে তার পরিবারের মোট সদস্য ৩৯ জন।
জান মোহাম্মদের শত সন্তানের বাবা হওয়ার ইচ্ছা পূরণে তার তিন স্ত্রী সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন। মেডিকেল প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, “এ কারণে পারিবারিক অনুষ্ঠানগুলোতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয় জান মোহাম্মদকে।”
মানবাধিকার কর্মীরা জান মোহাম্মদের এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, “জান মোহাম্মদের স্ত্রী ও সন্তানদের ওপর বহুবিবাহের প্রভাব পড়ছে।”
তিন স্ত্রীর গর্ভে জান মোহাম্মদের ওই ৩৫ সন্তানের জন্ম হয়েছে। যাদের মধ্যে ২১ জন মেয়ে ও ১৪ জন ছেলে। মাটি ও ইটের মিশ্রণে তৈরি কোয়েটার একটি বাড়িতে ৩৯ সদস্য নিয়ে বসবাস করছেন জান মোহাম্মদ।
পেশায় জান মুহাম্মদ একজন চিকিৎসক ও ব্যবসায়ী।
পাকিস্তানে পুরুষদের চারটি বিয়ে করার অনুমতি আছে। সেক্ষেত্রে আগের স্ত্রীদের অনুমতি নিতে হয়।
রাফিয়া জাকারিয়া নামে এক নারী মানবাধিকারকর্মী বলেন, “পাকিস্তানে বহুবিবাহের ঘটনা বিরল। তবে কেউ বহুবিবাহ করলে তা স্ত্রী ও সন্তানের মনে হতাশা বয়ে আনে।”
তিনি আরো বলেন, “কোরআনে বহুবিবাহের কথা বলা হয়েছে। তবে কেউ সবার ভরণপোষণ করতে পারলেই কেবল একের অধিক বিবাহ করা যাবে।”
জান মুহাম্মদ বলেন, “আমি যে আমার পরিবারের বর্ধিত ব্যয় বহন করতে সক্ষম হচ্ছি সেজন্য মহান আল্লাহকে ধন্যবাদ। প্রতি মাসে আমার পরিবারিক ব্যয় এক লাখ রুপি।”
জান মুহাম্মদের বড় মেয়ে শাগুপ্তা নাসরিন বলেন, “আমরা মেয়েরা ছেলেদের বহুগুণে ছাড়িয়ে যাচ্ছি।” তিনি আরো বলেন, “পাকিস্তানে নারীদের সংখ্যা এমনিতেই অনেক বেড়ে গেছে। আমাদের পরিবার এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করছে।”
জান মুহাম্মদ তার সব সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে চান। - এনডিটিভি