স্টাফ রিপোর্টার: চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর ঢাকায় প্রথম সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েই হাজীপুর ইউনিয়নের জনগুরুত্বপূর্ণ ১১টি রাস্তা পাকাকরণে কুলাউড়ার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতা চাইলেন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সাংবাদিক নেতা আব্দুল বাছিত বাচ্চু। গত শুক্রবার (৩ জুন ১৬) সেগুণবাগিস্থ জাতীয় মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করে ঢাকাস্থ কুলাউড়া সমিতি। বার্ষিক সাধারণ সভার পাশাপাশি কুলাউড়ার নবনির্বাচিত কৃতি সন্তানদের জন্য সমিতির এই আয়োজন। কুলাউড়া কৃতি সন্তান সাবেক সচিব ইকবাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে আব্দুল বাছিত বাচ্চু বলেন, কুলাউড়া সমিতিতে অনেক গুণী ব্যক্তি সম্পৃক্ত যারা ঢাকায় সারাদেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অথচ কুলাউড়ার প্রত্যন্ত এলাকায় অনেক রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এখনও করুণ দশা। চাইলে কুলাউড়া সমিতির কৃতি সন্তানরা কুলাউড়াকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। আব্দুল বাছিত বাচ্চু সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দের কাছে তার ইউনিয়নের ১১টি জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা পাকাকরণে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা চান। তিনি বলেন, এই ১১টি রাস্তা পাকাকরণ হলে তার ঢাকা আসা সফল হবে। আব্দুল বাছিত বাচ্চু বলেন, বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রকাশিত ম্যাগাজিন প্রত্যয়ে ভূলে হলেও কুলাউড়া জেলা সমিতি লেখা হয়েছে। তাই কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা, উছমানগড়/শমসেরনগর উপজেলা নিয়ে কুলাউড়াকে জেলা করলে জনগণের আরও বেশি উপকার হবে। কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সভা শুরু হয়। বার্ষিক রিপোর্ট পেশ করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ মিঠু। শোক প্রস্তাব পাঠ শেষে সমিতির সদস্য ফাহিমা চৌধুরী মনির সাবলীল উপস্থাপনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কুলাউড়ার সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মতিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ডাকসু সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আ স ম কামরুল ইসলাম, এডভোকেট আবেদ রাজা, পৌর মেয়র শফি আলম ইউনুছ, জালালাবাদ সমিতির সভাপতি তোফায়েল সামি, কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সৌম্যপদ ভট্টাচার্জ সজল, হাজিপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চু, টিলাগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালিক, অ্যাডভোকেট তবারক হোসাইন, সমিতির কুতুব উদ্দিন সুহেল, অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করেন সাবেক সচিব ইয়াহিয়া চৌধুরী। নতুন কমিটিতে জনপ্রশাসন অতিরিক্ত সচিব আব্দুর রউফ সভাপতি এবং অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে খ্যাতিমান শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।
অনুষ্ঠানে এছাড়াও সাবেক সংসদ সদস্য নওয়াব আলী আব্বাছ খান, কর্মধা ইউপি চেয়ারম্যান এমএ রহমান আতিক, মুক্তিযোদ্ধা আত্তর আলী স্মৃতি সংসদের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান চৌঃ লিটুসহ কুলাউড়ার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
যে ১১টি রাস্তার দাবি জানালেন চেয়ারম্যান বাচ্চুঃ
মনু-তিলকপুর সড়কের পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র হতে পাইকপাড়া সুলতানপুর সড়ক(কানিহাটি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত), মনু-তিলকপুর সড়ক হইতে হাজীপুর-পীরেরবাজার ভায়া চাঁন্দগাঁও রাস্তা, পাবই রেল গেইট হতে পীরেরবাজার শহীদ শুকুরউল্লা নামফলক পর্যন্ত, পাইকপাড়া-সুলতানপুর সড়কে সুলতানপুর বাজার হতে মাদানগর পর্যন্ত ভায়া আলিপুর জামে মসজিদ, নছিরগঞ্জ-পীরেরবাজার সড়কের পূর্ব কেওলাকান্দি হতে দক্ষিণ টিলা মন্তাজ মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত, কটারকোনা কাউকাপন সড়কের প্রফেসর তোফায়েল সাহেবের বাড়ি হইতে মুহাদ্দিস সাহেবের বাড়ির মোড় পর্যন্ত, হরিচক কাল ভৈরবের থলি হতে উত্তর পল্কী রহিম মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত ভায়া শহীদ আরজু স্মৃতি গেইট, কটারকোনা-কাউকাপন দ্বিতীয় সড়কের কাউকাপন বাজার হতে একই সড়কের শাহ মকদুম (র.) মাজার পর্যন্ত ভায়া শাহ হামিদ ফারুকীর মাজার, কটারকোনা-কাউকাপন দ্বিতীয় সড়কের করিম মিয়ার বাড়ি হইতে ফুলপুর দিঘিপার ভায়া সুনীল শব্দকরের বাড়ি, পাইকপাড়া-সুলতানপুর সড়কের পাইকপাড়া হতে চকরনচাপ বাংলা বাড়ি ভায়া মনুগাজিপুর স্কুল, ব্রাহ্মণবাজার শমসেরনগর আরএন্ডএইচ রাস্তার মুখ হতে পাবই রেলগেইট ভায়া পূর্ব রজনপুর মসজিদ।