আজকের আইপিলে সাকিব না মুস্তাফিজ?

আজকের আইপিলে সাকিব না মুস্তাফিজ?
স্পোর্টস ডেস্কঃ ৬ বলে ৪ রান—গত ম্যাচে মুস্তাফিজুর রহমানের সামনে এই হলো ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) দুটি ‘বাংলাদেশ ডার্বি’তে দুজনের মুখোমুখি হওয়াও এই একবারই। আজ আবারও আইপিএলে ‘বাংলাদেশ ডার্বি’ দেখার সুযোগ হচ্ছে। এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হবে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ফিরোজ শাহ কোটলার ম্যাচটি বাংলাদেশের কাছে শুধুই সাকিব-মুস্তাফিজের।
এলিমিনেটর, অর্থাৎ আইপিএলকে আজ বিদায় বলে দিতে হবে সাকিব-মুস্তাফিজদের যেকোনো একজনকে। ২৯ মের ফাইনাল জিতে ফেরার ইচ্ছেটাও থেমে যাবে আজ সাকিব কিংবা মুস্তাফিজের। এ ম্যাচে বাংলাদেশের দর্শক-সমর্থকেরা কাকে সমর্থন দেবেন? আজই এমন দ্বিধায় পড়ে যাওয়ার কথা নিশ্চয়ই কেউ আশা করেননি। ফাইনালকেই সবাই বেছে নিয়েছিলেন তৃতীয় ‘বাংলাদেশ ডার্বি’র সবচেয়ে ভালো উপলক্ষ হিসেবে।
২০০৯ সালের পর এবারই আইপিএলে প্রথম একসঙ্গে দুজন বাংলাদেশি ক্রিকেটার খেলছেন। এই প্রথম এমন দুজন বাংলাদেশি আইপিএলে খেলছেন, যাঁদের একাদশে থাকা নিয়েও কোনো প্রশ্ন নেই। তাঁরা দলে না থাকলেই বরং প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে।
২০১১ সাল থেকে আইপিএলে বাংলাদেশের সবেধন নীলমণি সাকিবকে এবার সঙ্গ দিয়েছেন মুস্তাফিজ। দুটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়ে জয়ী হতে পারেননি কেউই। প্রথম ম্যাচে তো মুখোমুখি লড়াইয়ের কোনো সুযোগই সৃষ্টি হয়নি। দ্বিতীয় ম্যাচের চিত্র তো আগেই বলা হলো—মুস্তাফিজের ৬ বল খেলে ৪ রান নিয়েছেন সাকিব।
পুরো আইপিএলে কিপটে বোলিংয়ের প্রদর্শনী দেখিয়ে বেড়ানো মুস্তাফিজ কলকাতার বিপক্ষেই কেন যেন একটু বেশি খরুচে ছিলেন। আইপিএলে ওভারপ্রতি ৬.৭১ রান দেওয়া ‘দ্য ফিজ’ কলকাতার বিপক্ষে দুই ম্যাচে ৮ ওভারে দিয়েছেন ৬১। উইকেট মাত্র ২টি। এর মধ্যে অবশ্য আন্দ্রে রাসেলের উইকেটও আছে। মুস্তাফিজের ইয়র্কারে পরাস্ত রাসেল মুখ থুবড়ে পড়ে আছেন উইকেটের ওপর—এটি আইপিএলের গল্পকথার অংশ হয়ে থাকবে অনেক দিন। কিন্তু ওই আউটটি ছাড়া দুটি ‘বাংলাদেশ ডার্বি’তেই মুস্তাফিজকে ঠিক ‘মুস্তাফিজ’ মনে হয়নি। সেই ক্ষতে জ্বলুনি আরও বাড়িয়েছে দুই ম্যাচেই হায়দরাবাদের হার।

এই দুই ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সাকিবও খুব একটা ভালো করেননি। দুই ম্যাচে ব্যাটিং করেছেন একবার, মাত্র ৭ রান তাতে। বোলিংয়েও ৭ ওভার বল করে ৪৭ রান দিয়ে মাত্র ১ উইকেট। অবশ্য এবারের আইপিএলে সাকিবের পারফরম্যান্সও গড়পড়তা। ১০ ম্যাচ খেলে এক ফিফটিতে ১১৪ রান, উইকেটও মাত্র ৫টি। সে তুলনায় প্রথমবার খেলতে এসেই অনেক উজ্জ্বল মুস্তাফিজ। ১৪ ম্যাচে ১৬ উইকেট পেয়ে উইকেটশিকারিদের মধ্যে আছেন চতুর্থ স্থানে।

কিন্তু এসবই এখন পুরোনো। আজ সবার চোখ আরেকটি ‘বাংলাদেশ ডার্বি’র দিকে। শেষ হাসি কে হাসবেন—সাকিব না মুস্তাফিজ?

Post a Comment

Previous Post Next Post