ডেস্ক
নিউজঃ ‘আমি ঝঞ্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সম্মুখে যাহা পাই যাই চূর্ণি।...
আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর
সাথে পাঞ্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝঞ্ঝা!’
বিদ্রোহী কবিতার এমন প্রতিটি চরণই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কড়া প্রতিবাদের ভাষা শেখায়।
সমাজের সব ধর্মান্ধতাকে ভুলে যেতে কবি লিখেছেন, ‘গাহি সাম্যের গান- যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব ব্যবধান, যেখানে মিশেছে হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলিম-ক্রীশচান।’
সমাজের সব ধর্মান্ধতাকে ভুলে যেতে কবি লিখেছেন, ‘গাহি সাম্যের গান- যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব ব্যবধান, যেখানে মিশেছে হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলিম-ক্রীশচান।’
এমন
সব কালজয়ী কবিতার যিনি স্রষ্টা, তিনি আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
আজ ২৫ মে কবির ১১৭তম জন্মজয়ন্তী। বাঙালি জাতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ
করছে সাম্য, দ্রোহ ও প্রেমের কবিকে।
ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কবির সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা
জানাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ। সকাল সাড়ে ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,
কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং ছাত্রী-ছাত্রীদের নিয়ে সর্বপ্রথম পুষ্পস্তবক অর্পণ
করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
এরপর
একে একে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় কবি পরিবার, নজরুল একাডেমি, বাংলা
একাডেমি, জাতীয় যাদুঘর, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও
সাংস্কৃতিক সংগঠন। ফুলে ফুলে ভরে যায় চিরনিদ্রায় শায়িত জাতীয় কবি কাজী
নজরুল ইসলামের সমাধি।
কেবল সাংগঠনিকভাবে নয়। কবিকে স্মরণ করতে অনেকে গিয়েছিলেন একাও। একটি গোলাপ হাতে নিয়ে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান অনেকে।