স্টাফ রিপোর্টারঃ
আজ ১৪ শাবান রোববার দিবাগত রাতটিই পবিত্র শবে বরাত। হিজরি বর্ষপঞ্জির
শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটি বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে অত্যন্ত
পবিত্র ও মহিমান্বিত। মহান আল্লাহ তাআলা এ রাতে বান্দাদের জন্য তার অশেষ
রহমতের দরজা খুলে দেন।
মহিমান্বিত
এ রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বিগত জীবনের সব ভুল-ভ্রান্তি, পাপ-তাপের জন্য
গভীর অনুশোচনায় মহান আল্লাহ তাআলার দরবারে সকাতরে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
নফল নামাজ, জিকির-আজকার, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে বিনিদ্র রাত
কাটিয়ে বিনম্র প্রার্থনা করেন ভবিষ্যৎ জীবনে পাপ-পঙ্কিলতা পরিহার করে
পরিশুদ্ধ জীবনযাপনের জন্য।
একই
সঙ্গে প্রয়াত আত্মীয়-স্বজনসহ চিরবিদায় নেওয়া মুসলিম নর-নারীর কবর
জিয়ারত করে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন। এ ছাড়া
পাড়া-মহল্লার মসজিদগুলোতেও সন্ধ্যার পর থেকেই মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ
মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। অনেকে গভীর রাত পর্যন্ত ইবাদত-বন্দেগিতে মগ্ন
থেকে শেষ রাতে সেহির খেয়ে পরদিন নফল রোজা রাখেন।
শাবান
মাসের পরেই আসে পবিত্র মাহে রমজান। শবে বরাত মুসলমানদের কাছে রমজানের
আগমনী বার্তা বয়ে আনে। শবে বরাতের মধ্য দিয়েই শুরু হয় রমজান মাসের
সিয়াম সাধনার প্রস্তুতি।এ ছাড়া বাঙালি মুসলিম সমাজে শবে বরাতের একটি
আনন্দঘন সামাজিক দিকও রয়েছে।
এদিন
মুসলমানদের বাড়িতে সাধ্যানুযায়ী হালুয়া, পায়েস, রুটিসহ উপাদেয় খাবার
রান্না করা হয়। এসব খাবার আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীর বাড়িতে পাঠানো
এবং গরিব-দুঃখীর মধ্যে বিতরণ করা হয়। অনেকে মুক্ত হস্তে দান-খয়রাত করে
থাকেন। বরাবরের মতোই শবে বরাতের পরদিন অর্থাৎ কাল সোমবার সরকারি ছুটি
থাকবে। দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন নানা কর্মসূচি নিয়েছে।
মহিমান্বিত
এ রাত ভাবগম্ভীর পরিবেশের মধ্য দিয়ে পালনের লক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের
উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আজ রাতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা
হয়েছে। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে—ওয়াজ মাহফিল, কোরান তিলাওয়াত, মিলাদ
মাহফিল, হামদ্-না’ত, নফল ও তাহাজ্জুদের নামাজ এবং আখেরি মোনাজাত।
পবিত্র
শবে বরাত উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পৃথক বাণীতে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি
ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করেছেন।