কুলাউড়ায় প্রায় ৫ হাজার মানুষের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান

কুলাউড়ায় প্রায় ৫ হাজার মানুষের  দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান
স্টাফ রিপোর্টারঃ কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডবাসীর বহুল আকাঙ্খি ‘ইব্রাহিম শাহ ও ফাতেমা বেগম নতুন সড়ক’ উদ্বোধনের মাধ্যমে ৩০ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হলো। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে বর্তমান চেয়ারম্যান ইছহাক চৌধুরী ইমরানের উদ্যোগে মরহুমের ভাতিজা সৈয়দ আজমল আলী শাহ সেন্টু’র সম্মতিতে এ সড়ক উদ্বোধন হয়েছে। বৃহস্পতিবার ৩১ মার্চ সকাল ১০ টায় এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে এ সড়কের উদ্বোধন করেন ইউপি চেয়ারম্যান ইছহাক চৌধুরী ইমরান। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বরমচালের পশ্চিম সিংগুর, ব্রিজিং, নোয়াবাগান এই তিন এলাকার প্রায় ৫ হাজার লোক বরমচালের প্রধান সড়কে যাওয়া আসার জন্য সজ্জাদ লন্ডনীর ব্যক্তিগত রাস্তা ব্যবহার করছে। এতে ওই এলাকার জনসাধারণের নানারকম সমস্যায় পড়তে হয়েছে। অনেক সময় ব্যক্তিগত মালামালবাহী গাড়ী নিয়ে যেতে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে। তাদের অনেক দিনের আশা তাদের যাতায়াতের জন্য সরকারি একটি রাস্তার। প্রায় ৩০ বছর ধরে চেষ্টা করেও সফল হচ্ছেন না কেউই। সরেজমিনে জানা যায়, বিগত অনেক চেয়ারম্যান, মেম্বার, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা ওই এলাকার জনসাধারনণর যাতায়াতের জন্য একটি সরকারি রাস্তা করার চেষ্টা করে সফল হন নি। বরমচালের বর্তমান চেয়ারম্যান ইছহাক চৌধুরী ইমরানের অনুরোধে কয়েক দফা বৈঠকের পর এলাকার সম্মানী ব্যক্তিত্ব ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম হযরত শাহ কালা (রা) মাজারের সাবেক খাদিম ২ বারের ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম সৈয়দ ইব্রাহিম আলী শাহের ভাতিজা সৈয়দ আজমল আলী শাহ সেন্টু নিজেদের ব্যাক্তিগত জায়গা থেকে ১০ ফুট পাশ ও ৩ হাজার ফুট দৈর্ঘ্য একটি সড়ক জনসাধারনের যাতায়াতের জন্য দান করেছেন। এতে অত্র অঞ্চলের সর্বসাধারণের মাঝে খুশির আমেজ তৈরি হয়েছে। এলাকার সাবেক মেম্বার আক্কাছ মিয়া, আব্দুল বারী বলেন, আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এই এলাকার মানুষের দীর্ঘ দীনের আশা পূরণ হয়েছে। সড়কের জমিদাতা সৈয়দ আজমল আলী শাহ সেন্টু জানান, এলাকার মানুষ অনেক কষ্ট করে প্রধান সড়কে আসা যাওয়া করছে। আমার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তা দেয়ার জন্য চেষ্টা করেছে। এলাকাবাসীর কষ্ট লাগবে আমার প্রয়াত বড় আব্বা সৈয়দ ইব্রাহিম আলী শাহ ও আমার বড় আম্মা ফাতেমা বেগমের আত্মার শান্তির জন্য এলাকাবাসীর দোয়া কামনায় আমি আমার পরিবারের পক্ষ থেকে এই জায়গা দান করেছি। বরমচাল ইউপি চেয়ারম্যান ইছহাক চৌধুরী ইমরান বলেন, প্রায় ৩০ বছর ধরে এই রাস্তার জন্য ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা দাবি করে আসছে। কিন্তু সময় সুযোগের অভাবে তা পূর্বে হয় নাই। বর্তমানে আমি এলাকার মানুষকে নিয়ে সৈয়দ আজমল আলী শাহ সেন্টুকে অনুরোধ করলে তিনি রাজি হয়ে যান। তার এই দান এই এলাকার মানুষ চিরদিন মনে রাখবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post