কুলাউড়ায় চা শ্রমিকদের ভোট পাল্টে দিতে পারে সব হিসাব নিকাশ

কুলাউড়ায় চা শ্রমিকদের ভোট পাল্টে দিতে পারে সব হিসাব নিকাশ
নিউজ ডেস্কঃ কুলাউড়া উপজেলায় ৬টি ইউনিয়নে ৪র্থ দফা নির্বাচন হবে ৭মে।  ৩য় দফা নির্বাচনে কুলাউড়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের ২ প্রার্থীর বিজয়ে চা শ্রমিকদের ভোট ছিলো ফ্যাক্টর। এরফলে ৪র্থ দফায় ৬টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পাবে বিশেষ সুবিধা। সরেজমিন চা শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চা শ্রমিকরা দেশ স্বাধীনের পর থেকে নৌকায় ভোট দেয়। এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিক থাকায় তারা প্রার্থী কে বা তার যোগ্যতা বিবেচনা করছেন না। চা শ্রমিক লছমী নারায়ন, শ্যাম নারায়ন বাউরি, লক্ষী গোয়ালা, সুবাস গোয়ালা, রিতা উরাং, তেলি রাজভর জানান, বাবু হামরা (আমরা) নৌকায় ভোট দেই। আর কিছু বুঝি না। আর কাউরে দিমু না। কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে রয়েছে কালিটি, রাঙ্গিছড়া, মুরইছড়া, আছগরাবাদ ও রাজানগর চা বাগান। এই ৫টি বাগানের ভোটার সংখ্যা ৩ হাজারের বেশি। এই ভোটগুলো যখন নৌকার বাক্সে পড়ে তখন নৌকার প্রার্থী নির্বাচনী দৌঁড়ে কয়েকধাপ এগিয়ে যান। যা বিএনপি কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে এগিয়ে যাওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে। এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী এমএ রহমান আতিক জানান, টানা দু’বার নির্বাচন করেছি। কিন্তু এবার নৌকা প্রতিক থাকায় বিজয় অনেকটা সুনিশ্চিত। তবে প্রতিপক্ষ বিএনপি বিদ্রোহী প্রার্থী ও দু’বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুস সহিদ বাবুল ছাড় দেয়ার পাত্র নন। মুলত চা শ্রমিক ভোটারদের ভোট টানতেই তিনি ধানের শীষ না নিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তাঁর এই সিদ্ধান্ত কতটা যুক্তিযুক্ত তা ৭ মের পরেই বলা যাবে।
৩য় দফা নির্বাচনে কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল ও ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ে চা শ্রমিকদের ভোট বিশেষ অবদান রাখে। চা বাগানের কেন্দ্রগুলোতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা শতকরা ৯৫ ভাগ ভোট পেয়েছেন। ফলে ৪র্থ দফা নির্বাচনে যে এর প্রভাব পড়বে তা প্রার্থীরাও অনুভব করছেন। যেসকল ইউনিয়নে চা শ্রমিকরা নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে সেগুলো হলো কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়ন, টিলাগাঁও ইউনিয়ন ও শরীফপুর ইউনিয়ন। কুলাউড়ার ৩ ইউনিয়নে রয়েছে ১০টি চা বাগান। এসব ইউনিয়নে অন্যান্য হাটবাজারের মত চা বাগানগুলোতেও নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে। সকাল থেকে রাত অব্দি প্রার্থীরা বাগানগুলোতেও চষে বেড়াচ্ছেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post