টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

বিশ্বকাপের ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
আমিন জাহান: দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ৩য় বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পোঁছেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভারতের দেয়া ১৯৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ক্যারিবিয়ানরা।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হয় টিম ইন্ডিয়া। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে ১৯২ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করায় স্বাগতিকরা। টপঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানই দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। কোহলি ৪৭ বলে ৮৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। জবাবে, লেন্ডল সিমন্স, জনসন চার্লস আর আন্দ্রে রাসেলের দুর্দান্ত ব্যাটিং ঝড়ে ২ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ভারতের হয়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করেন দুই ওপেনার আজিঙ্কা রাহানে ও রোহিত শর্মা। ইনিংসের অষ্টম ওভারে বিদায় নেন ব্যাটে ঝড় তোলা রোহিত শর্মা। স্যামুয়েল বদ্রির বলে এলবির ফাঁদে পড়েন ৩১ বলে ৪৩ রান করা রোহিত। তার ইনিংসে ছিল তিনটি চার আর তিনটি ছক্কার মার।প্রথম ৩৫ বলে দলীয় অর্ধশতক আসে ভারতের। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে টিম ইন্ডিয়া কোনো উইকেট না হারিয়ে তোলে ৫৫ রান। আর এক উইকেট হারিয়ে ৭৬ বলে আসে তাদের দলীয় শতক।দলীয় ৬২ রানের মাথায় ওপেনার রোহিত শর্মা ফিরে গেলে উইকেটে জুটি বাঁধেন আজিঙ্কা রাহানে আর বিরাট কোহলি। স্কোরবোর্ডে এই দুই ব্যাটসম্যান আরও ৬৬ রান যোগ করেন। ইনিংসের ১৬তম ওভারে রাহানে বিদায় নেন। ৩৫ বলে দুটি চারের সাহায্যে ৪০ রান করেন তিনি। আন্দ্রে রাসেলের বলে বাউন্ডারি সীমানায় ব্রাভোর হাতে ধরা পড়েন রাহানে।কোহলি ৩৩ বলে নিজের অর্ধশতকের দেখা পান। ১৬তম অর্ধশতক হাঁকিয়ে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ হাফসেঞ্চুরির মালিক হন তিনি। এর আগে ১৫টি করে অর্ধশতক হাঁকিয়েছিলেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম এবং ক্রিস গেইল। ইনফর্ম কোহলি ৪৭ বলে ১১টি চার আর একটি ছক্কায় করেন ৮৯ রান। ধোনি ৯ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।
ভারতের ছুঁড়ে দেয়া ১৯৩ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে দলের হয়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে নামেন ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইল এবং জনসন চার্লস। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বিদায় নেন গেইল। জাসপ্রিত বুমরাহর বলে বোল্ড হওয়ার আগে তিনি ৬ বলে করেন ৫ রান।ইনিংসের তৃতীয় ওভারের শেষ বলে আশিষ নেহারা ফিরিয়ে দেন মারলন স্যামুয়েলসকে। রাহানের তালুবন্দি হওয়ার আগে তিনি করেন ৮ রান।পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলে নেয় ৪৪ রান। আর ৪১ বলে দলীয় অর্ধশতকের দেখা পায় তারা। ৬৯ বলে দলীয় শতকের ঘরে পৌঁছে ক্যারিবীয়রা।দলীয় ৬ রানের মাথায় বিদায় নেন ক্রিস গেইল। আর ১৯ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন স্যামুয়েলস। এরপর জুটি বাঁধেন লেন্ডল সিমন্স এবং জনসন চার্লস। ৩০ বলে অর্ধশতকের দেখা পান জনসন চার্লস। ৬৭ বলে ৯৭ রান যোগ করেন সিমন্স এবং জনসন চার্লস। ইনিংসের ১৪তম ওভারে কোহলির হাতে বল তুলে দেন ধোনি। প্রথম বলেই কোহলি ফিরিয়ে দেন সেট ব্যাটসম্যান জনসন চার্লসকে। রোহিত শর্মার তালুবন্দি হওয়ার আগে ক্যারিবীয় এই ওপেনার করেন ৩৬ বলে ৫২ রান। তার ইনিংসে ছিল ৭টি চার আর দুটি ছক্কা।

Post a Comment

Previous Post Next Post