নিউজ ডেস্কঃ সিলেট অঞ্চলে খুন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন ফৌজদারি মামলা প্রমাণের জন্য ভিসেরা, ডিএনএ পরীক্ষাসহ সব রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য নমুনা ঢাকা ও চট্টগ্রামে পাঠাতে হয়। এতে মামলা নিষ্পত্তিতে সময় ক্ষেপণের কারণে বিচার প্রার্থীদের ভোগান্তির শেষ নাই। এসব দিক বিবেচনায় এনে ওসমানী মেডিকেল কলেজ চত্বরে অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু সিদ্ধান্তহীনতার কারণে চালু করা সম্ভব হচ্ছেনা এই রাসায়নিক পরীক্ষাগার। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের মর্গে প্রতিদিন গড়ে ৭টি লাশের ময়নাতদন্ত হয়ে থাকে। ময়না তদন্তে প্রাপ্ত নমুনা ছাড়াও আত্মহত্যা, হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিম থেকে সংগৃহীত ভিসেরা রিপোর্টের জন্য পাঠাতে হয় চট্টগ্রামে। আর শিশু ও নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল থেকে ডিএনএ টেস্টের জন্য পাঠাতে হয় ঢাকায়। বিভিন্ন পরীক্ষার প্রতিবেদন ঢাকা ও চট্টগ্রামে পাঠানোর ফলে বিচার প্রার্থীরা পড়েন ভোগান্তিতে। সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম শমিউল আলম বলেন, 'বিচারের একটি পর্যায়ে এসে বিচার প্রার্থীকে সাক্ষী দিয়ে প্রমাণ করতে হবে। সুতরাং তাকে প্রসেস দিতে হবে, তার জন্য একটি তারিখ নির্ধারণ থাকবে। আর সে যদি না আসেন তাহলে সেই তারিখটা আবার দীর্ঘায়িত হবে।' এসব বিবেচনায় এনে ২০০৬ সালে ওসমানী মেডিকেল কলেজের মর্গের পাশে একটি ভবন নির্মাণ করে সেখানে যাবতীয় পরীক্ষা করার ব্যবস্থা নেয়ার চিন্তাভাবনা করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভবন নির্মাণ হলেও এখন পর্যন্ত তা চালু করা সম্ভব হয়নি। ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোর্শেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, 'আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত এটা চালু হয়নি।' তবে, প্রতিটি মেডিকেল কলেজে এই পরীক্ষাগুলো করানোর প্রয়োজনীয়তা কথা বললেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুছ ছবুর মিঞা। সিলেটের ৩৪টি আদালতে বছরে ছয় হাজারেরও বেশি মামলা দায়ের করা হয়। তার ৭৫ ভাগই ফৌজদারি মামলা। এছাড়া মাসে ২০টির মতো নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা আমলে নেয়া হয়।