নিউজ ডেস্কঃ তনু হত্যাকারীদের খুঁজে বেরে করে গ্রেফতারের দাবিতে আগামী ৩ এপ্রিল সারা দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে প্রগতি শীল ছাত্রজোট। শাহবাগে বিক্ষোভ কর্মসূচির পর এই ঘোষণা দেয় তারা। তবে, এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা এই কর্মসূচির বাইরে থাকবে। বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ এলাকায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়। মঙ্গলবার বিকেলে বিক্ষোভ সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবীতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। কুমিল্লার কলেজছাত্রী, সংস্কৃতিকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যার ৯ দিন পেরিয়ে গেলেও অপরাধীদের এখনও সনাক্ত করা যায়নি। আর এর প্রতিবাদেই শাহবাগে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার দুপুর থেকে কয়েক ঘণ্টার জন্য শাহবাগ মোড়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে তারা। বিক্ষোভে যোগ দেয় ঢাকা কলেজ, নটরডেম কলেজসহ বেশ কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। স্কুল-পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরাও যোগ দেয় প্রতিবাদ সমাবেশে। এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, 'সরকার এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে বড় কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি না। পড়া-শুনা বাদ দিয়ে আমাদের রাস্তায় নামতে হয়েছে। আমরা আশা করি, দেশের একটা স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা আছে, ঠিক মতো বিচার চলবে। কিন্তু বিচার হচ্ছে না। আমাদের বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামতে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই একজন নারী, আমরা আশা করি, তিনি বিষয়টি বুঝবেন।' এসময় আগামী ৩ এপ্রিল পরবর্তী কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়। হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিক্ষোভ করে সংস্কৃতি কর্মীরাও। তনুর হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে বর্তমান সরকারের অন্যতম শরীক দল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। সন্ধ্যায় নারীর প্রতি দেশের বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতার প্রতিবাদের মশাল মিছিল করে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।