স্টাফ রিপোর্টার : কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও কাদিপুর ইউনিয়নের তিন বারের নির্বাচিত জনপ্রিয় চেয়ারম্যান এ কে এম সফি আহমদ সলমানকে আওয়ামীলীগ থেকে সাময়িক বহিস্কারের বিরুদ্ধে পাল্টা বিবৃত্তি দিয়েছে জেলা আওয়ামীলীগ। ৯ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ ফিরোজ ও প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মশহুদ আহমদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারাদেশের বিপক্ষে তাদের অবস্থান তুলে ধরেন। বিবৃতিতে তাঁরা উল্লেখ করেন, কুলাউড়া পৌরসভার সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কর্তৃক তথা গনতন্ত্রের মানসকন্যা বঙ্গবন্ধু তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক, কাদিপুর ইউনিয়নের তিন বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান কে এম সফি আহমদ সলমানকে মেয়র পদে মনোনয়ন প্রদান করেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সিন্ধান্ত অমান্য করে কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবশঅলী কতিপয় নেতা আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নৌকা প্রতিকের বিরুদ্ধে সর্বক্ষেত্রে বিরোধীতা করেন। ফলে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী নিশ্চিত বিজয় থেকে বঞ্চিত হন। দলের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার ও শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য স্থানীয় তদন্তত্রমে সংগঠন বিরোধী উল্লেখিত নেতাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা একান্ত আবশ্যক। তাছাড়া আব্দুস শহীদ এমপি ও নেছার আহমদ যে বিবৃতি দিয়ে সফি আহমদ সলমানকে সাময়িক বহিস্কার করেছেন এতে জেলা আওয়ামীলীগের কোন সম্পৃক্তা নেই। এটা তাদের ব্যক্তিগত মতামত বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন।
এ বিবৃতির মধ্য দিয়ে মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের পুরনো দলীয় অভ্যন্তরীন কোন্দল আবারো মাথাছাড়া দিয়ে উঠেছে। গত শনিবার কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদককে বহিষ্কার করা নিয়ে নতুন করে ফের দ্বন্ধ দেখা দিয়েছে। দু’টি গ্রুপই পাল্টা পাল্টি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই বহিষ্কার আদেশ নিয়ে তাদের অবস্থান তুলে ধরছেন গণমাধ্যমে। শনিবার রাতে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সম্পাদক স্বাক্ষরিত দলীয় প্যাডে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই বহিষ্কারের সিন্ধান্তটি গণ্যমাধ্যমকে জানালে বিষয়টির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অনুরুপ মঙ্গলবার বিকেলে মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ ফিরোজ ও প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মশহুদ আহমদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারাদেশের বিপক্ষে তাদের অবস্থান তুলে ধরেন। তাদের এমন পাল্টা পাল্টি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদের অবস্থান জানান দিতে গিয়ে কার্যত প্রকাশ্যে দ্বন্ধে জড়িয়ে পড়ছেন মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের দীর্ঘদিন থেকে দু’টি গ্রুপে দ্বিধা বিভক্ত দলের নেতাকর্মীরা। হঠাৎ তড়িগড়ি করে বহিষ্কারের এমন সিদ্ধান্তে নতুন করে প্রকাশ্যে দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়ছেন জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। দলীয় সুত্রে জানা যায় ৫ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ভুকশিমইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনুর উপর হামলার প্রেক্ষিতে পরদিন শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি উপাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুস শহীদ এমপি ও সাধারণ সম্পাদক নেছার আহমদ স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাকে দলের সকল পদ থেকে অব্যাহতি এবং অস্থায়ী বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়। দীর্ঘ ৯ বছরের মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি সম্পাদক জেলা কমিটিতে সভা করে আলোচনার মাধ্যমে এ ধরনের কোন সিন্ধান্ত নেননি। কারণ দর্শানো নোটিশ ছাড়া আত্মপক্ষ সর্মথনের কোন সুযোগ না দিয়ে এবং জেলা কমিটির সদস্যদের নিয়ে সভা না করে তড়িগড়ি করে এ ধরনের একতরফা সিন্ধান্ত দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জেলা কমিটির এখতিয়ার বর্হিভূত। এ ধরনের সিন্ধান্ত দলের হতে পারেনা বরং তা আক্রোশমূলক বা ব্যাক্তিগত। এমন চূড়ান্ত সিন্ধান্ত নেওয়া দলের স্বার্থ ও গঠণতন্ত্র বিরোধী ষড়যন্ত্র মূলক বলে ওই দিনই তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমকে এমনটি জানিয়ে ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ ফিরোজ ও প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মশহুদ আহমদ। তাদের এমন বক্তব্যের পর মঙ্গলবার জেলা কমিটির সংখ্যাগরিষ্ট সদস্য সভাকরে তারা সভাপতি ও সম্পাদকের নেওয়া এমন সিন্ধান্ত প্রত্যাখান করে বহিষ্কার আদেশ নিয়ে পাল্টা প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেন গণমাধ্যমে। এ বিষয়ে জানতে কুলাউড়া আওয়ামীলীগের একাধিক নেতার সাথে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা জানান গেল পৌর নির্বাচন থেকে কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ভূকশিমইল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনুসহ আরো ২-৩ জন দলের উপজেলা কমিটির নেতাদের সাথে দ্বন্ধের সৃষ্টি হয় উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কাদিপুর ইউনিয়নের ৩ বারের নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান ও গেল পৌর নির্বাচনে কুলাউড়া পৌরসভার আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী এ কে এম সফি আহমদ সলমানের। অভিযোগ উঠেছে এ দ্বন্ধের নেপথ্যে নির্বাচনে সলমানকে সহযোগীতা না করে তার পক্ষে কাজ না করে দলের হাই কমান্ডের নির্দেশ অমান্য করে প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে দলের বহিষ্কৃত বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে বিদ্রোহী প্রার্থীকে বিজয়ী করাকে কেন্দ্র করে। ওই নির্বাচনে স্থানীয় নেতাদের এমন আচরনে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সফি আহমদ সলমান। যদিও সফি আহমদ সলমান ও দলীয় নেতাকর্মীদের আনীত এমন অভিযোগ মানতে নারাজ দলের উপজেলা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা অভিযুক্ত নেতৃবৃন্দ। তারপরও নির্বাচনের পর থেকে সলমানের সমর্থক ও দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে এনিয়ে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। দলের উপজেলা কমিটির আরো কয়েকজন নেতাসহ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ তুলেন দলের নেতাকর্মীরা। এর পর থেকে ক্ষোভে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা দলের উপজেলা সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনুসহ নির্বাচনে নিজ দলের মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থানকারী অন্যান্য নেতাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে থাকেন। সম্প্রতি দলের সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটে আসা উপলক্ষে স্বাগত জানিয়ে কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কে এম সফি আহমদ সলমানের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে শহর প্রদক্ষিণ করেন। পরে দলের বহিষ্কৃত নব নির্বাচিত পৌর মেয়রকে নিয়ে রফিকুল ইসলাম রেনু পাল্টা মিছিল বের করলে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে উভয় গ্রুপ থেকে চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। পরে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও পুলিশের হস্তক্ষেপে নিবৃত্ত হন দলের উত্তেজিত নেতাকর্মীরা। এরপর থেকে ভেতরে ভেতরে অভ্যন্তরীণ ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে। শুক্রবার কাদিপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সম্মেলনে সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে এর বহিঃপ্রকাশ ঘটল বলে অভিমত দলীয় নেতাকর্মীদের। তবে নেতাকর্মীর হাতে দলের উপজেলা সাধারন সম্পাদক নাজেহাল হওয়ার ঘটনাকে অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন দলের জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ ।
এ বিবৃতির মধ্য দিয়ে মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের পুরনো দলীয় অভ্যন্তরীন কোন্দল আবারো মাথাছাড়া দিয়ে উঠেছে। গত শনিবার কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদককে বহিষ্কার করা নিয়ে নতুন করে ফের দ্বন্ধ দেখা দিয়েছে। দু’টি গ্রুপই পাল্টা পাল্টি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই বহিষ্কার আদেশ নিয়ে তাদের অবস্থান তুলে ধরছেন গণমাধ্যমে। শনিবার রাতে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সম্পাদক স্বাক্ষরিত দলীয় প্যাডে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই বহিষ্কারের সিন্ধান্তটি গণ্যমাধ্যমকে জানালে বিষয়টির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অনুরুপ মঙ্গলবার বিকেলে মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ ফিরোজ ও প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মশহুদ আহমদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারাদেশের বিপক্ষে তাদের অবস্থান তুলে ধরেন। তাদের এমন পাল্টা পাল্টি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদের অবস্থান জানান দিতে গিয়ে কার্যত প্রকাশ্যে দ্বন্ধে জড়িয়ে পড়ছেন মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের দীর্ঘদিন থেকে দু’টি গ্রুপে দ্বিধা বিভক্ত দলের নেতাকর্মীরা। হঠাৎ তড়িগড়ি করে বহিষ্কারের এমন সিদ্ধান্তে নতুন করে প্রকাশ্যে দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়ছেন জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। দলীয় সুত্রে জানা যায় ৫ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ভুকশিমইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনুর উপর হামলার প্রেক্ষিতে পরদিন শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি উপাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুস শহীদ এমপি ও সাধারণ সম্পাদক নেছার আহমদ স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাকে দলের সকল পদ থেকে অব্যাহতি এবং অস্থায়ী বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়। দীর্ঘ ৯ বছরের মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি সম্পাদক জেলা কমিটিতে সভা করে আলোচনার মাধ্যমে এ ধরনের কোন সিন্ধান্ত নেননি। কারণ দর্শানো নোটিশ ছাড়া আত্মপক্ষ সর্মথনের কোন সুযোগ না দিয়ে এবং জেলা কমিটির সদস্যদের নিয়ে সভা না করে তড়িগড়ি করে এ ধরনের একতরফা সিন্ধান্ত দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জেলা কমিটির এখতিয়ার বর্হিভূত। এ ধরনের সিন্ধান্ত দলের হতে পারেনা বরং তা আক্রোশমূলক বা ব্যাক্তিগত। এমন চূড়ান্ত সিন্ধান্ত নেওয়া দলের স্বার্থ ও গঠণতন্ত্র বিরোধী ষড়যন্ত্র মূলক বলে ওই দিনই তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমকে এমনটি জানিয়ে ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ ফিরোজ ও প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মশহুদ আহমদ। তাদের এমন বক্তব্যের পর মঙ্গলবার জেলা কমিটির সংখ্যাগরিষ্ট সদস্য সভাকরে তারা সভাপতি ও সম্পাদকের নেওয়া এমন সিন্ধান্ত প্রত্যাখান করে বহিষ্কার আদেশ নিয়ে পাল্টা প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেন গণমাধ্যমে। এ বিষয়ে জানতে কুলাউড়া আওয়ামীলীগের একাধিক নেতার সাথে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা জানান গেল পৌর নির্বাচন থেকে কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ভূকশিমইল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনুসহ আরো ২-৩ জন দলের উপজেলা কমিটির নেতাদের সাথে দ্বন্ধের সৃষ্টি হয় উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কাদিপুর ইউনিয়নের ৩ বারের নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান ও গেল পৌর নির্বাচনে কুলাউড়া পৌরসভার আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী এ কে এম সফি আহমদ সলমানের। অভিযোগ উঠেছে এ দ্বন্ধের নেপথ্যে নির্বাচনে সলমানকে সহযোগীতা না করে তার পক্ষে কাজ না করে দলের হাই কমান্ডের নির্দেশ অমান্য করে প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে দলের বহিষ্কৃত বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে বিদ্রোহী প্রার্থীকে বিজয়ী করাকে কেন্দ্র করে। ওই নির্বাচনে স্থানীয় নেতাদের এমন আচরনে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সফি আহমদ সলমান। যদিও সফি আহমদ সলমান ও দলীয় নেতাকর্মীদের আনীত এমন অভিযোগ মানতে নারাজ দলের উপজেলা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা অভিযুক্ত নেতৃবৃন্দ। তারপরও নির্বাচনের পর থেকে সলমানের সমর্থক ও দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে এনিয়ে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। দলের উপজেলা কমিটির আরো কয়েকজন নেতাসহ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ তুলেন দলের নেতাকর্মীরা। এর পর থেকে ক্ষোভে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা দলের উপজেলা সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনুসহ নির্বাচনে নিজ দলের মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থানকারী অন্যান্য নেতাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে থাকেন। সম্প্রতি দলের সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটে আসা উপলক্ষে স্বাগত জানিয়ে কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কে এম সফি আহমদ সলমানের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে শহর প্রদক্ষিণ করেন। পরে দলের বহিষ্কৃত নব নির্বাচিত পৌর মেয়রকে নিয়ে রফিকুল ইসলাম রেনু পাল্টা মিছিল বের করলে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে উভয় গ্রুপ থেকে চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। পরে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও পুলিশের হস্তক্ষেপে নিবৃত্ত হন দলের উত্তেজিত নেতাকর্মীরা। এরপর থেকে ভেতরে ভেতরে অভ্যন্তরীণ ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে। শুক্রবার কাদিপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সম্মেলনে সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে এর বহিঃপ্রকাশ ঘটল বলে অভিমত দলীয় নেতাকর্মীদের। তবে নেতাকর্মীর হাতে দলের উপজেলা সাধারন সম্পাদক নাজেহাল হওয়ার ঘটনাকে অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন দলের জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ ।

