স্পোর্টস ডেস্ক: পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়েছেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু সাকিবকে পুরষ্কার না দিয়ে উপস্থাপক রমিজ রাজা দিয়ে বসেন লেন্ডি সিমন্সকে। পরে অবশ্য তিনি সাকিবকে পুরষ্কার নিতে আমন্ত্রণ জানান। শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুবাইয়ে লাহোরের বিপক্ষে ৭ উইকেটে ম্যাচ জেতে সাকিবের করাচি কিংস। ম্যাচে ৫১ রান ও ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচ অব দ্যা ম্যাচ সাকিব হন। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চ প্রস্তুত হলে সেখানে উপস্থিত হন বাংলাদেশের নেতিবাচক সমালোচনায় মুখিয়ে থাকা রমিজ রাজা। পক্ষপাত দোষে দুষ্ট রমিজ সাকিবকে ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিতে না ডেকে, ডেকে বসেন ওপেনার ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিমন্সকে। পরে চক্ষুলজ্জা ভুলে সাকিবকেই ডেকে নেন তিনি। ম্যাচে ৬২ রান করে অপরাজিত থাকা সিমন্সকে ম্যাক্সিমাম বাউন্ডারি অ্যাওয়ার্ড নিতে নাম ঘোষণা করেন রমিজ। এরপর উপস্থিত থাকা অতিথিদের কাছ থেকে সিমন্স তার পুরস্কার হাতে নেন। এরপরই ম্যান অব ম্যাচের পুরস্কার ঘোষণা করতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন রমিজ। এ পুরস্কারের জন্য আবারো নাম ঘোষণা করে সিমন্সকে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে থাকতে বলেন তিনি। সিমন্স ঘোষণা অনুযায়ী ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার হাতে তুলে নেন। কিন্তু, কয়েক সেকেন্ড পর দুঃখপ্রকাশ করে রমিজ বলেন, ‘সরি সরি ইটস সাকিবস... সিমন্স ইউ অলরেডি গট ইওর অ্যাওয়ার্ড। সাকিব প্লিজ কাম ওভার এন্ড রিসিভ ইওর এওয়ার্ড। ইটস ইওরস।’ রমিজ এটা তার 'টাইপো' বলেও মন্তব্য করেন। এ ম্যাচে সাকিব বল হাতে ৪ ওভারে ২৬ রান খরচায় একটি উইকেট তুলে নেন। আর ব্যাটিংয়ে নেমে সিমন্সের সঙ্গে ১০৯ রানের জুটি গড়েন। ব্যাট হাতে ৩৫ বলে তিনটি চার আর তিনটি ছক্কায় সাকিব করেন ৫১ রান। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের রমিজ রাজা বাংলাদেশ ক্রিকেট বিরোধী মন্তব্যের জন্যে ব্যাপকভাবে সমালোচিত। গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় ম্যানুকাওভালে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের মধ্যকার ক্রিকেট ম্যাচে ধারাভাষ্যকার প্যানেলে বসে বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের প্রতি অবহেলা, উন্নাসিকতা, জ্বালাধরা টাইপের মন্তব্য করেন। এর প্রতিবাদে ঢাকায় রমিজ রাজার কুশপুতুল দাহ করা হয়েছিল, তাকে বাংলাদেশের যে কোন খেলায় ধারাভাষ্য প্যানেল থেকে বাদ দেওয়ার দাবিও উঠেছিল।