আইসিসি যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে টাইগার যুবারা

আইসিসি যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে টাইগার যুবারা
স্পোর্টস ডেস্কঃ আইসিসি যুব বিশ্বকাপে প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে নেপালকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশের যুবারা। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নেপালের দেয়া ২১২ রানের লক্ষ্য নিয়ে ১০ বল বাকি থাকতেই টপকে যায় বাংলাদেশ। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টায় মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হয় ম্যাচটি। এদিন ম্যাচের শুরুতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নেপাল। ব্যাটিংয়ে নেমে নেপাল শিবিরে শুরুতেই আঘাত হানেন বাংলাদেশের দুই বোলার সাইফুদ্দিন ও মেহেদি হাসান রানা। ইনিংসের পঞ্চম ও ষষ্ঠ ওভারে নেপালের পরপর দুই উইকেটের পতন হয়। সন্দীপ সুনারকে দলীয় ১৭ রানে সাজঘরে ফেরান সাইফুদ্দিন। দুই রানের ব্যবধানে যুগেন্দ্র কার্কিও রানার বলে সাইফের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে মাঠ ছাড়েন। দুই ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে নেপাল। কিন্তু দলীয় ৬৩ রানে জাকির ও শান্তর যৌথ প্রচেষ্টায় রান আউট হন ওপেনার সুনীল ধামালা (২৫)। তৃতীয় উইকেটের পতনে আবারো চাপ তৈরি হয় নেপালের ওপর। কিন্তু ২ ব্যাটসম্যান রিজাল এবং আরিফ শেখের ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে পার্টনারশীপ গড়ে আবারও ঘুরে দাঁড়ায় নেপাল। ইনিংসের ২৭ দশসিক ২ ওভারে দলীয় ১১৪ রানে আরিফকে (২১) ফেরান আবারও সাইফুদ্দিন। মাঠে ভয়ংকর হয়ে উঠা রিজাল ব্যক্তিগত অর্ধশত পূরণ করলেও তাকেও রান আউট হয়ে ফিরে যেতে হয়। আউট হওয়ার আগে ৭২ রানের এক অনবদ্য ইনিংস খেলে দলকে কিছুটা রানের মুখ দেখান তিনি। দলীয় ১৫৩ রানে রাজবীর সিংকে (৯) সরাসরি এলবিডব্লিউ করে ফেরান স্পিনার সালেহ আহমেদ শাওন। ষষ্ঠ উইকেটের পতন হওয়ায় কিছুটা চাপে পড়ে যায় নেপাল। এই চাপের মধ্যে রান আউট নিয়ে বেশ সমস্যায় পড়ে যেতে হয় নেপালকে। দলের বোঝাপড়ায় কিছুটা সমস্যা হওয়ায় আবারও রান আউটের শিকার হন আরেক ব্যাটসম্যান ভারতেল। তিনি ফেরেন দলীয় ১৭৮ রানে ব্যক্তিগত ১৪ রান করে। সপ্তম উইকেটে দলকে কিছুটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আইরি কিছুটা চেষ্টা করেন। তিনিও ফেরেন দলীয় ২০২ রানে অধিনায়ক মিরাজের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে। ইনিংসের শেষ ওভারের শেষ বলে কান্দেলকে (২) রান আউট করে ফেরান সাইফুদ্দিন। ফলে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে নেপালের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেট হারিয়ে ২১১ রান। জয়ের জন্য টাইগার যুবাদের প্রয়োজন ২১২ রান। ২১২ রানের জবাবে শুরুটা ভালো করলেও দলীয় ১৭ রানে ওপেনার সাইফ হাসানকে ৫ রানে এলবিওডব্লিউ করে ফেরান নেপালের স্পিনার ধামালা। শুরুতেই কিছুটা ধাক্কা খেলেও আরেক ওপেনার পিনাক ঘোষ ও সাইফের পরিবর্তে নামা জয়রাজ শেখ কিছুটা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। কিন্তু ২ জনের ভুল বুঝা-বুঝির কারণে পিনাক দলীয় ৬৩ রানে এবং ব্যক্তিগত ৩২ রানে রান আউট হয়ে ফেরেন। এরপর জয়রাজ ও শান্ত’র দ্রুত আউটের পর কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের অপরাজিত ৬৫ বলে ৫৫ ও জাকির হোসেনের অপরাজিত ৭৭ বলে ৭৫ রানের অনবদ্য জুটিতে ৬ উইকেটে ১০ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় যুবারা।

Post a Comment

Previous Post Next Post