স্টাফ রিপোর্টারঃ কুলাউড়া জংশন স্টেশনকে স্টেশনকে গ্রেড ১ থেকে গ্রেড ২ এ অবনমিত করায় ক্ষব্ধ হয়ে উঠেছে সর্বস্তরের মানুষ। ২১ ফেব্রুয়ারী রোববার কুলাউড়া স্টেশন মাস্টারকে ৬ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রেলওয়ে শ্রমিক লীগ। তারা ৭২ ঘন্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না হলে ট্রেন চলাচল বন্ধসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দিয়েছে। এছাড়া আজ সোমবার সর্বস্তরের কুলাউড়াবাসী রেলস্টেশনে মানবন্ধন কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। রেলওয়ে সুত্র জানায়, বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্রগ্রাম জুনিয়র পার্সোনাল অফিসার-২ (পূর্ব) মোঃ সিরাজ উল্যাহ স্বাক্ষরিত দপ্তরাদেশে ডিটিও ঢাকার অধিনস্থ গৌরীপুর ময়মনসিংহ স্টেশনকে গ্রেড-২ হতে গ্রেড-১ এ উন্নিত করে কুলাউড়ার স্টেশন মাস্টার মির্জা সামছুল আলমকে শূন্য পদের বিপরীতে সেখানে পদায়ন করা হয়। এদিকে ডিটিও ঢাকার অধীনস্থ কুলাউড়া জংশন স্টেশনকে গ্রেড-১ হতে গ্রেড-২ এ অবনমিত করে মির্জা শামসুল আলমের স্থলে হরিপদ সরকারকে পদায়ন করা হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্রগ্রাম জুনিয়র পার্সোনাল অফিসার-২ (পূর্ব) মোঃ সিরাজ উল্যাহ স্বাক্ষরিত দপ্তরাদেশে কুলাউড়ায় স্টেশনে এসে পৌছলে কুলাউড়া রেলস্টেশনে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারিরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। রেলওয়ে শ্রমিক লীগ সকাল ১০ টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৬ ঘন্টা কুলাউড়ার স্টেশন মাস্টার মির্জা শামসুল আলমকে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে। এসময় তারা এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ্েশ্লাগান দেয়। রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সভাপতি মোঃ নাজমুল হক ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম জানান, একজন স্টেশন মাস্টারের বদলির জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বৃটিশ আমলের এবং জন্মলগ্ন থেকে একটি এ গ্রেডের রেলস্টেশনকে গ্রেড-২ এ অবনমন করা মোটেও উচিত হয়নি। শুধু অবরুদ্ধ নয় যদি ৭২ ঘন্টার মধ্যে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা না হয়, তাহলে কুলাউড়া স্টেশন দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হবে।
এদিকে আজ সোমবার সকাল ১১টায় সর্বস্তরের কুলাউড়াবাসী রেলস্টেশনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়েছে। কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি বদরুজ্জামান সজল ও সমাজকর্মী এম. আতিকুর রহমান আখই জানান, এটা কুলাউড়াবাসীর বৃহত্তর স্বার্থে একটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি আহ্বান করা হয়েছে। তবে রেলওয়ে শ্রমিক লীগের কর্মসূচির সাথেও তারা একাত্ম। যদি সিদ্ধান্ত পরিবর্তণ না হয় তাহলে ৭২ ঘন্টা পর বৃহৎ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এব্যাপারে কুলাউড়া স্টেশন মাস্টার মির্জা শামসুল আলম জানান, আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। গ্রেড পরিবর্তণ করার দায়িত্ব আমার নয়। আমার স্ত্রী ময়মনসিংহে টেলিফোন বিভাগে চাকরি করেন। পারিবারিক সুবিধার কথা বিবেচনা করে আমি বদলী হয়ে ময়মনসিংহের দিকে যেতে চাই।
এদিকে আজ সোমবার সকাল ১১টায় সর্বস্তরের কুলাউড়াবাসী রেলস্টেশনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়েছে। কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি বদরুজ্জামান সজল ও সমাজকর্মী এম. আতিকুর রহমান আখই জানান, এটা কুলাউড়াবাসীর বৃহত্তর স্বার্থে একটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি আহ্বান করা হয়েছে। তবে রেলওয়ে শ্রমিক লীগের কর্মসূচির সাথেও তারা একাত্ম। যদি সিদ্ধান্ত পরিবর্তণ না হয় তাহলে ৭২ ঘন্টা পর বৃহৎ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এব্যাপারে কুলাউড়া স্টেশন মাস্টার মির্জা শামসুল আলম জানান, আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। গ্রেড পরিবর্তণ করার দায়িত্ব আমার নয়। আমার স্ত্রী ময়মনসিংহে টেলিফোন বিভাগে চাকরি করেন। পারিবারিক সুবিধার কথা বিবেচনা করে আমি বদলী হয়ে ময়মনসিংহের দিকে যেতে চাই।