মৌলভীবাজার সীমান্তে বিরোধপূর্ণ ১৯৪ একর ভূমি পেল বাংলাদেশ

মৌলভীবাজার সীমান্তে বিরোধপূর্ণ ১৯৪ একর ভূমি পেল বাংলাদেশ
নিউজ ডেস্কঃ মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলা, ডোমাবাড়ি এবং বড়লেখা উপজেলার পাল্লাতল সীমান্তে প্রায় ১৯৪ একর বিরোধপূর্ণ ভূমিতে বাংলাদেশের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতর, বিজিবি ও মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সাল থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ জরিপ দল জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলা, ডোমাবাড়ি এবং বড়লেখা উপজেলার পাল্লাতল সীমান্তে উভয় দেশের সীমানা চিহ্নিত করার কাজ শুরু করে। ওই এলাকার কোনো কোনো অংশের সীমানা চিহ্নিত করার কাজ শেষ করা হয়েছে। এসব এলাকায় ইতিমধ্যেই সীমান্ত পিলার স্থাপনের স্থান নির্ধারণেরও কাজ শেষ হয়ে গেছে। সূত্রমতে, জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ি ইউনিয়নের লাঠিটিলা ও ডোমাবাড়ি সীমান্তের ১৩৯৭ নম্বর মেইন পিলার থেকে ১৪০০ নম্বর মেইন পিলারের মধ্যবর্তী এলাকায় কোনো পিলার ছিল না। পিলার না থাকায় ওই এলাকায় ১২০ একর ভূমির মালিকানা নিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বিরোধ চলছিল। যৌথ জরিপে এই ১২০ একর ভূমির মালিকানা বাংলাদেশের নিশ্চিত হওয়া গেছে। অন্যদিকে বড়লেখা উপজেলার পাল্লাতল সীমান্তে ৩৬০ একর বিরোধপূর্ণ ভূমির মধ্যে ৭৪.০৯ একর ভূমিতে বাংলাদেশের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যৌথ জরিপে পাল্লাতল সীমান্তের ১৩৭০ নম্বর মেইন পিলার থেকে ১৩৭১ নম্বর মেইন পিলারের ভেতরে ৫৮ দশমিক ৪৪ একর এবং ১৩৭২ নম্বর মেইন পিলার থেকে ১৩৭৩ নম্বর মেইন পিলারের ভেতরে ১৫ দশমিক ৬৫ একর ভূমি বাংলাদেশ পেয়েছে। বিজিবি শ্রীমঙ্গল সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. তারিকুল ইসলাম খান পিএসসি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীদ্বয়ের মধ্যে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে স্বাক্ষরিত ল্যান্ড বাউন্ডারি এগ্রিমেন্ট এবং পরবর্তী পর্যায়ে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুই দেশের ভূমি জরিপ দল লাঠিটিলা, ডোমাবাড়ি ও পাল্লাতল এলাকায় সীমানা চিহ্নিত করে সীমান্ত পিলার স্থাপনের স্থান নির্ধারণ করছে। এখনও সেখানে জরিপ কাজ চলছে। ভূমি রেকর্ড জরিপ অধিদফতরের কানুনগো আবদুল হক জানান, সীমান্তে নতুন করে সীমান্ত পিলার স্থাপনের জন্য স্থান নির্ধারণে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ জরিপ দল কাজ করছে। ইতিমধ্যে কিছু কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post