নিউজ ডেস্কঃ দেশের উপকূলীয় এলাকা সমূহের পাশাপাশি টাঙ্গুয়ার হাওর এবং হাকালুকি হাওড়ে পাখি শুমারি চালাবে বলে জানান, বাংলাদেশ বার্ডস ক্লাবসহ তিনটি সংগঠন। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশে পাখি শুমারির ৩০ ও বিশ্বের ৫০ বছর পুর্তিতে বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব, আইইউএন বাংলাদেশ এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন আয়োজিত পাখি গণনা ও সংরক্ষণ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় আয়েজকরা এ কথা জানান। ড. নিয়াজ আব্দুর রহমান বলেন, আমরা বাইক্কা বিল ও হাকালুকি হাওড়ে আগামী ১৪ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত পাখি শুমারি চালাব। পাখি শুমাবি চালানোর সময় একটি পাখি থেকে আরেকটি পাখিকে আলাদা করতে পায়ে রিং ব্যবহার করা হবে। তিনি বলেন, চলতি মাসের ১৪ জানুয়ারি থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের উপকূলীয় এলাকা সমূহের পাশাপাশি টাঙ্গুয়ার হাওড় ও হাকালুকি হাওড়ে পাখি শুমারি চালাতে স্বেচ্চাসেবীদল রওয়ানা হবে। তিনি বলেন, প্রতি বছর আমাদের দেশে সু-দূর সাইবেরিয়া থেকে শুরু করে অত্যধিক বরফ শীতল এলাকা থেকে একটু উঞ্চতা পেতে আমাদের দেশে নানা প্রজাতির প্রচুর পরিমাণ অতিথি পাখি আসে। কিন্তু কিছু লোক সেসব অতিথি পাখি শিকার করে শুধু জীব বৈচিত্রই ধ্বংস করে না তারা পরিবেশের ও বড় ধরণের ক্ষতি করে। এসব অতিথি পাখিকে যদি আগামীতে আমরা নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হই তাহলে ক্রমান¦য়ে সেসব পাখি পাশ্ববর্তী অন্য কোন দেশে নিরাপদ আশ্রয় লাভের সন্ধান করবে । তিনি আরও বলেন, অতিথি পাখি সংরক্ষণে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সরকারকেও উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। পাখি শিকারে জড়িতদের প্রচলিত আইনে শাস্তি এবং নিরাপদ বাসস্থানে সকলকে সমানভাবে এগিয়ে আহব্বান জানান তিনি। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সভাপতি ড. নিয়াজ আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে পরিবেশবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমেদ, পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক, মুকিত মজুমদার বাবু, ড. সাজেদা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।