স্টাফ রিপোর্টারঃ কুলাউড়ার উপজেলার শরীফপুরে একটিসহ বেশ কয়েকটি সীমান্ত ফাঁড়ি স্থানের সিদ্ধান্ত হয়েছে বিজিবি- বিএসএফের ব্যাটেলিয়ন পর্যায়ের বৈঠকে। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে ভারতের কৈলাসহরে সেই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৪৬ ব্যাটেলিয়ন কমান্ডার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বিএসএফের সাথে ভারতীয় অংশে অনুষ্ঠিত অনানুষ্ঠানিক এ বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৪৬ বিজিবি ব্যাটেলিয়ন কমান্ডার ল্যা: কর্ণেল নাসির উদ্দীন। অপর দিকে বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ত্রিপুরার পানি সাগরের ডিআইজি ডি.কে শর্মা। প্রায় ঘন্টা খানেক স্থায়ী বৈঠকে ত্রিপুরার জম্পুই হিল সংলগ্ন বাংলাদেশের পার্বত্য চট্রগ্রাম, কুলাউড়ার শরীফপুরসহ সীমান্ত এলাকায় নতুন একটিসহ আরও বেশ কয়েকটি সীমান্ত এলাকায় নতুন করে বিজিবির সীমান্ত ফাঁড়ি স্থাপন করা হবে। এসব বিষয়ে এক ও অভিন্ন কিছু সমন্বয়মূলক কাজ নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বিজিবি ৪৬ নং ব্যাটেলিয়ন কমান্ডার ল্যা: কর্ণেল নাসির উদ্দীন বৈঠকের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এটি একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠক ছিল। সীমান্তে টহল জোরদারকরণে বিজিবির বেশ কিছু নতুন সীমান্ত ফাঁড়ি স্থাপন করা হবে। এর মাঝে পার্বত্য চট্রগ্রাম এলাকার যোগাযোগে দুর্গম এলাকায় একটি বিজিবি ফাঁড়ি স্থাপন করা হবে। সে স্থানে নির্মাণ সামগ্রী পাঠাতে সহজ বিবেচনায় চাতলাপুর চোকপোষ্ট দিয়ে ত্রিপুরার কৈলাসহর হয়ে সড়ক পথ ব্যবহার করা যায় কিনা তা নিয়ে ভাবা হচ্ছে। সে জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে বৃহস্পতিবারের কৈলাসহরের বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক হয়েছে। ল্যা: কর্ণেল নাসির আরও জানান, এ বৈঠকে গত ৩ জানুয়ারি বিএসএফ কর্তৃক ধরে নেওয়া মানসিক ভারসাম্যহীন বাংলাদেশী ইরা মিয়ার বিষয়টিও আলোচনা হয়েছে। বিএসএফের পক্ষে বলা হয়েছে ইরা মিয়া এখন কৈলাসহর কারাগারে আছে। আদালতের নির্দেশনার পর এ বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।