কুলাউড়ায় বিএনপি’র চেয়ারম্যানরা ইউপি নির্বাচন নিয়ে কৌশলী

কুলাউড়ায় বিএনপি’র চেয়ারম্যানরা ইউপি নির্বাচন নিয়ে কৌশলী
বিশেষ প্রতিনিধি: আসন্ন ইউপি নির্বাচন নিয়ে কৌশলী কুলাউড়া উপজেলার বিএনপি সমর্থক চেয়ারম্যানরা। নির্বাচনে তার অংশ নেবেন কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই লড়বেন বলে আভাস পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের দূর্গ হিসেবে পরিচিত কুলাউড়া উপজেলায় ১৩ ইউনিয়নের ৯ টিতে বর্তমানে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব বিএনপি’র চেয়ারম্যান। ৩টিতে আওয়ামী লীগের আর একটিতে কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করছেন। ১নং বরমচাল ইউনিয়নের ইছহাক চৌধুরী ইমরান (বিএনপি), ২নং ভুকশিমইল ইউনিয়নে রফিকুল ইসলাম রেনু (আওয়ামীলীগ), ৩নং ভাটেরা ইউনিয়নে সিরাজ মিয়া (বিএনপি), ৪নং জয়চন্ডী ইউনিয়নে কমর উদ্দিন আহমদ কমরু (বিএনপি), ৫নং ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নে রফিক উদ্দিন আহমদ (বিএনপি), ৬নং কাদিপুর ইউনিয়নে মানিক মিয়া (ভারপ্রাপ্ত, আওয়ামীলীগ), ৭নং কুলাউড়া সদর ইউনিয়নে মোহাম্মদ শাহজাহন (আওয়ামীলীগ), ৮নং রাউৎগাও ইউনিয়নে আব্দুল জলিল জামাল (বিএনপি), ৯ নং টিলাগাও ইউনিয়নে সৈয়দ মহি উদ্দিন হোসেন (বিএনপি), ১০ নং হাজিপুর ইউনিয়নে মাহমুদ আলী (বিএনপি), ১১নং শরীফপুর ইউনিয়নে আব্দুল হান্নান চিনু (আওয়ামীলীগ), ১২নং পৃথিমপাশা ইউনিয়নে আব্দুল লতিফ (কমিউনিস্ট পার্টি) এবং ১৩ কর্মধা ইউনিয়নে আব্দুস শহীদ বাবুল (বিএনপি)। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ভরাডুবির নেপথ্যে ছিলো দলীয় একাধিক প্রার্থীর লড়াই। যদিও আসন্ন নির্বাচনে আর এমনটা হচ্ছে না বলা যেতে পারে। কেননা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা লড়বেন দলীয় প্রতিকে। আওয়ামী লীগ যদি প্রতিটি ইউনিয়নে তাদের একক প্রার্থী চুড়ান্ত করতে পারে তবে কুলাউড়ার চিত্র পাল্টে যেতে পারে। আর যদি সেটা সম্ভব না হয় তবে অতীতের ন্যায় আবারও ভরাডুবি নিশ্চিত। তবে বিএনপি’র চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে কৌশলী উত্তর। নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে অনেক চেয়ারম্যান জানান, বিগত পৌর নির্বাচন তারা দেখেছেন। সেই থেকে তারা সতর্ক। তাদের মতে, নির্বাচন নিরপেক্ষ হলে কথা ছিলো না। যেহেতু সেই সুযোগ নেই, তাই তারা দলীয় প্রতিকের বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা ভাবছেন। কেননা ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করলেই তারা টার্গেট হবেন। তারা চাচ্ছেন না এই মুহুর্তে কোন প্রকার ঝামেলায় জড়াতে। বরমচাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইছহাক চৌধুরী ইমরান জানান, নির্বাচন যদি অবাধ সুষ্টু নিরপেক্ষ হলে কথা ছিলো। দলীয় মোড়কের নির্বাচন হলে তিনি অংশ নাও নিতে পারেন। আর স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতিক খুব একটা ফ্যাক্টর হবে না। এখানে ব্যক্তি ইমেজটাই মুখ্য। কুলাউড়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যদি এমপি নির্বাচিত হতে পারেন, তাহলে চেয়ারম্যান নির্বাচনে কেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হতে পারবে না। রাউৎগাও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জামাল বলেন, যেহেতু দল করি দলীয় প্রতিকে নির্বাচনে অংশ নেবো। নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হলে কোন প্রশ্নই থাকবে না।

Post a Comment

Previous Post Next Post