নিউজ ডেস্কঃ আধুনিকতার ছোঁয়ায় ক্রমেই বিলীন হওয়ার পথে দেশের ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প। নিত্য ব্যবহার্য মাটির তৈজসপত্র তার চাহিদা হারিয়েছে অনেক আগেই। এখন যা আছে তার বেশিরভাগই ঘর সাজানোর উপকরণ। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব সংগ্রহ করেন ব্যবসায়ী এবং সৌখিন মানুষেরা। মৃৎশিল্পীদের তেমনি একটি জনপদ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের রুদ্রপাড়া গ্রাম। দেশ এগিয়ে গেলেও নানা প্রতিবন্ধকতায় অনেক দিক থেকেই পিছিয়ে আছেন কুমারপাড়ার এই মানুষগুলো। মৃৎশিল্পের আধিপত্য কেমন ছিল? তা প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে ফিরে তাকালেই স্পষ্ট দেখা যাবে। বংশ পরম্পরায় এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছেন কুমার পাড়ার মানুষগুলো। কোন ছাঁচে নয়, চোখের আন্দাজ আর হাতের জাদুকরী ছোঁয়ায়, কাঠের চাকায় ঘূর্ণির বলয়ে কাঁদা, মাটি আর পানির মিশ্রণে তৈরি হয় প্রতিটি তৈজসপত্র। চোখে পড়বে, পরম মমতায় মাখা মসৃণ আঁচড়, মনের মাধুরী মিশিয়ে আঁকা হয় নকশা। ঐতিহ্য আর শুদ্ধতা অক্ষুণ্ণ রাখতে, অগ্নি পরীক্ষা পেরিয়ে পৌঁছে যায় সৌখিনদের হাতে। তবে দুঃখ কষ্টের শেষ নেই এই কারিগরদের, টুকরো টুকরো গল্পে উঠে এসেছে তারই কিছুটা অংশ। শীত গরমের মাঝামাঝি সময়টুকু ভালো কাটলেও, কষ্টের শেষ নেই বর্ষা মৌসুমে। সংসারে সচ্ছলতার আলো জ্বালতেই তাদের এই নিরলস পরিশ্রম। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করতে পারেন মাটির তৈরি যেকোনো জিনিসপত্র।