বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে চার ম্যাচ টি-টোয়েন্টি ২-২ এ সমতা

বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে চার ম্যাচ টি-টোয়েন্টি ২-২ এ সমতা
স্পোর্টস ডেস্কঃ চার ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ও শেষ ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে সফরকারী জিম্বাবুয়ে। স্বাগতিক বাংলাদেশকে ১৮ রানে হারিয়ে সিরিজ ২-২ এ সমতায় শেষ করে এলটন চিগুম্বুরার দল। ফলে, নতুন বছরের প্রথম সিরিজ জেতা হলো না টাইগারদের। চতুর্থ ও শেষ টোয়েন্টি২০ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের দেয়া ১৮১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে ৫৩ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশ মাহমুদুল্লাহর ব্যাটে ম্যাচে ফিরে আসে। পরে নুরুল হাসান আউট হয়ে গেলেও মাশরাফির ঝড়ো ব্যাটিংয়ে জয়ের সম্ভাবনা জেগে ওঠেছে বাংলাদেশের। শুরুতেই ১.২ ওভারে দলীয় ১২ রানে মাদজিবার বলে আউট হয়েছেন ওপেনার সৌম্য সরকার। আউট হওয়ার আগে ১ চার ও ১ ছক্কায় ৭ বলে তিনি ১১ রান করেছেন। পরে একই ওভারের শেষ বলে আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল বোল্ড হয়েছেন ১ রানে। পরের ওভারের প্রথম বলেই চিসিরোর বলে ১ রানে আউট হয়েছেন সাব্বির রহমান। ৩ বল পরেই ৪ রানে বোল্ড হয়েছেন সাকিব আল হাসান। তখন ২.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ১৭ রান। ১৭ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশ ইমরুল কায়েস ও মাহমুদুল্লাহর জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও তা স্থায়ী হয়নি। দলীয় ৫৩ রানে ইমরুল কায়েস ব্যক্তিগত ১৮ রানে সিকান্দার রাজার বলে আউট হয়েছেন। এরপর নবাগত নুরুল হাসানকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মাহমুদুল্লাহ। ১১.১ ওভার শেষে এখন বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৯২ রান। ৫৩ বলে বাংলাদেশের এখন প্রয়োজন ৮৯ রান। মাহমুদুল্লাহ ২৮ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪৪ রানে অপরাজিত আছেন। এর আগে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সফরকারী জিম্বাবুয়ে ওপেনার মাসাকাদজার ৯৩ রানের ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৮০ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে। ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশকে সিরিজ জিততে হলে ১৮১ রান করতে হবে। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে শুক্রবার দুপুর ৩টায় শুরু ম্যাচে প্রথম ওভারটি ছিল বাংলাদেশের। পঞ্চম বলেই সফরকারীদের ওপেনার সিবান্দাকে আউট করে সাজঘরে ফিরিয়েছেন অধিনায়ক মাশরাফি। কিন্তু এরপর পুরো ম্যাচজুড়েই সাবলীল ব্যাটিং করেছে জিম্বাবুয়ে। ওপেনার মাসাকাদজার বিরুদ্ধে যেন অকার্যকর ছিল বাংলাদেশের বোলিং লাইন। সিবান্দা আউট হওয়ার পর আরেক ওপেনার মাসাকাদজা মুতুমবামানিকে নিয়ে জুটি বেধে বড় সংগ্রহের দিকেই এগুচ্ছিলেন। তবে ১১তম ওভারে এসে এ জুটি ভাঙ্গেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা আবু হায়দার রনি। ১০.১ ওভারে জিম্বাবুয়ের ১০২ রানে মুতুমবানিকে বোল্ড আউট করেছেন তিনি, জিম্বাবুয়ের রান তখন ৮৪। তবে মুতুমবানি ৩২ রানে আউট হলেও মাসাকাদজা দায়িত্বশীল ব্যাটিং চালিয়ে যান। এবার তিনি জুটি বাধেন ওয়ালারের সাথে। ৩৬ রান করে ওয়ালার তাসকীনের শিকার হওয়ার পর সিকান্দার রাজাও আউট হন সাকিবের বলে। তবে শেষপর্যন্ত ৫৮ বলে ৯৩ রানে অপরাজিত ছিলেন মাসাকাদজা। ৮ চার ও ৫ ছক্কায় ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি। তৃতীয় ম্যাচে বিশ্রামে থাকা তামিম ইকবাল এ ম্যাচে দলে ফিরেছেন। এ ছাড়া দলে ফিরেছেন আরাফাত সানি ও তাসকীন আহমেদ।

Post a Comment

Previous Post Next Post