শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি: শ্রীমঙ্গল গরমপানির সাথে জলাতংঙ্ক তরল পদার্থ মিশিয়ে গৃহবধু মনোয়ারার শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়িয়ে দিয়েছে তার স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভুনবীর ইউনিয়নের পাত্রীকুল গ্রামে। ঘটনার একদিন পর গুরুতর আহতবস্থায় মনোয়ারার ভাই তাকে ভর্তি করেছেন শ্রীমঙ্গল ৫০ শয্যা হাসপাতালে। হাসপাতালের বেডে চিকিৎসাধিন মনোয়ারা জানান, ১৫ দিন আগে মনোয়ারার স্বামী হাবিব মিয়া তার শশুর বাড়িতে গিয়ে মনোয়ারার ভাই এর স্ত্রীর কাছ থেকে আটআনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন নিয়ে আসে মনোয়ার কথা বলে। কয়েকদিন পর তার ভাইয়ের বউ মনোয়ারার কাছে চেইন ফেরত চাইলে মনোয়ারা অবাক হয়ে যায়। আর এ বিষয়টি জানতে চাইলে শুরু হয় তার উপর স্বামীর নির্যাতন। তাকে মেরে ফেলার জন্য হাবিব ১৩ জানুয়ারী বুধবার রাতে ভাড়া করা লোকও এনে রাখে ঘরের বাহিরে। ঘরের বাহিরে লোকজন হাটাচলা করছে দেখে মনোয়ারা সারা রাত ঘর থেকে বের হয়নি। প্রকৃতির ডাকে সারা দিলে ঘরের ভিতরেই তা সারে। সকাল বেলা হাবিব নতুন ফন্দি করে। স্ত্রীকে চায়ের গরম পানির ডেগ নিয়ে আসতে বলে। গরমপানির ডেগে এক ধরনের তরল পর্দাথ ঢেলে দেয়। বিষয়টি মনোয়ার চোখে পড়তেই সে জানতে চায় ডেগে কি ঢেলেছে । আবারও তার উপর ক্ষেপে যায় হাবিব। এসময় সে তরল পর্দাথসহ পানির ডেগ মনোয়ারারা উপর ঢেলে দিলে পুড়ে যায় মনোয়ার বুক, একটি স্তন,পেট,হাত ও কোমর থেকে ডান পায়ের উরো পর্যন্ত। মারাত্মক যন্ত্রনায় মনোয়ারা চিৎকার করলেও তাকে নিয়ে আসা হয়নি হাসপাতালে। ঘটনাক্রমে ঐ দিন বিকেলে তার বড় ভাই মনোয়ার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে বোনের এই অবস্থা দেখে তাকে নিয়ে আসেন হাসপাতালে। আর শ্রীমঙ্গল সদও হাপাতালের মেডিক্যাল অফিসার আহমদ শিবলী মহিউদ্দিন জানালেন, দ্রুত আরোগ্যের জন্য তাকে প্রতিদিন ডেসার করতে হবে। তবে উন্নত ডেসারের জন্য সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ভালো হবে। এদিকে তাকে সহায়তার আস্বাস দিয়েছেন স্থানীয় মানবাধিকারকর্মীরা। তার পাশে দাড়ানো মানবাধিকার সংগঠন আসক ফাউন্ডেশনের শ্রীমঙ্গল উপজেলা সভাপতি আফসার আহমদ সবদও জানান, তাকে আইনি সহায়তার পাশাপাশি তার চিকিৎসায় তারা সহায়তা করবেন। এ ঘটনায় ন্যায় বিচার পাবে মনোয়ারা এমনটাই চান তার পরিবারের লোকজন।