স্টাফ রিপোর্টারঃ এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম ও বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ অতিথি পাখির সমাগমস্থ হচ্ছে হাকালুকি। এটি মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া, বড়লেখা, সিলেট জেলার় ফেঞ্চুগঞ্জ , গোলাপগঞ্জ এবং বিয়ানীবাজার উপজেলা জুড়ে বিস্তৃত হলেও সিংহভাগ এলাকা কুলাউড়া উপজেলায়। হাকালুকি হাওরে ছোট, বড় ও মাঝারি আকারের সব মিলিয়ে প্রায় ২৩৮টি বিল রয়েছে।
শীতকালে এসব বিল ঘিরে অতিথী পাখির বিচরণে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো হাওর
এলাকা। প্রতিবছর শীতের সময় প্রায় ২০০ প্রজাতির বিরল অতিথি পাখি আসে এই
হাওরে। শীতকালে পাখির কলকাকলিতে নতুন ছন্দ পায় হাকালুকি হাওর। তা ছাড়া,
সারা বছরই দেশীয় নানা প্রজাতির পাখির আনাগোনা দেখা যায় হাকালুকি হাওরে। মুলত হাওরে সেপ্টেম্বর মাস
থেকে আসতে শুরু করে শীতের অতিথি পাখিরা। চলতি বছর বর্ষাকাল দীর্ঘ হাওয়ায় অতিথি পাখি আসতে বিলম্ব হয়। গত ফেব্রুয়ারি মাসের পাখি শুমারির তথ্য অনুসারে ৫৬ প্রজাতির প্রায় ২২
হাজার পাখি জরিপে অংশ নেয়া বার্ড ক্লাবের সদস্যরা গণনা করেন। প্রতি বছরই
রাতের আধাঁরে বিষটোপে অতিথি পাখি নিধন করে কিছু অসাধু লোক। বিষটোপে ও অন্যান্য পদ্ধতিতে পাখি নিধন
বন্ধ করতে হাওর এলাকার পাচটি উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
হাকালুকি হাওরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও অতিথী পাখিদের কলতান দেখার জন্য এখন লোকসমাগম দিন দিন বাড়ছে। ভালোভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করলে এই হাকালুকি হাওর হতে পারে দেশের পর্যটনশিল্পের অন্যতম আকর্ষণ।