ইমাদ উদ দীন: গত রাত ১২টার পর থেকে বন্ধ সব প্রচারণা। এ মুহূর্তে প্রার্থীরা নীরব হলেও এখন ভেতরে ভেতরে সরব ভোটার। মৌলভীবাজার জেলার ৪টি পৌরসভায় ৪১টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ২৯টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। তারপরও নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত ভোটের লড়াই হবে নৌকা-ধানের শীষে। ভোটারদের সঙ্গে আলাপেই এমন আভাস দিলেন তারা। শেষ পর্যায়ে এসে ভোটারদের মধ্যে অনেকটা নির্বাচনী উৎসব দেখা গেছে। চায়ের আড্ডা থেকে রাজপথ, সর্বত্র ছিল নির্বাচনী আলাপ-আলোচনা। পৌরসভার হাট-বাজার ও জনসমাগম স্থলগুলোতে গত রাত পর্যন্ত এমন দৃশ্য চোখে পড়ছে। প্রথমবারের মতো পৌরসভার মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনেকটা জাতীয় নির্বাচনে রূপ নিয়েছে। প্রার্থীর ব্যক্তি ইমেজের চেয়ে দলীয় প্রতীকই এখানে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। দুই দলের লড়াইয়ে মূল অস্ত্র দলীয় প্রতীক। এখন থেকেই ভোটারদের মধ্যে চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে। তবে নির্বাচনী যুদ্ধে জয়ের স্বপ্ন দেখছেন দু’দলের প্রার্থীরাই। জেলার ৫টি পৌরসভার মেয়র পদ দীর্ঘদিন থেকে রয়েছে বিএনপির দখলে। তাই এবার মেয়র পদগুলো পুনরুদ্ধারে মরিয়া আওয়ামী লীগ। আর জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রচেষ্টা বিএনপির। উন্নয়নের আশ্বাস আর স্বপ্নজাগানিয়া প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের মুখোমুখি হয়েছেন আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। দীর্ঘ প্রায় সাত বছর পর প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ-বিএনপির প্রতীক নৌকা-ধানের শীষ পেয়ে বেশ উজ্জীবিত স্থানীয় দলীয় ভোটাররা। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, ৪০টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে দেশজুড়ে পৌর নির্বাচনে মাঠে আছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ ১৯টি দল। এমন দলীয় পরিচয়ে এ জেলায় নিবন্ধিত ৬টি দল পৌর নির্বাচনে তাদের মেয়র প্রার্থী দিয়েছেন। তারা তাদের দলীয় প্রতীকেই নির্বাচন করছেন। তারা তাদের মতো করে নানা কৌশলে চালিয়েছেন নির্বাচনী প্রচারণা। আর মনজয় করার চেষ্টা করেছেন স্থানীয় ভোটারদের। এখন জেলার ৪ পৌরসভায় ৮১ হাজার ৯২৩ জন ভোটার ২২ জন মেয়র প্রার্থী থেকে কোন ৪ জন প্রার্থীকে যোগ্য বলে মনোনীত করেন তাদের পৌর মেয়র- এমন প্রতীক্ষার প্রহর গোনা শেষ হবে ৩০শে ডিসেম্বর।
মৌলভীবাজার সদর পৌরসভায় মোট ভোটার ৩৮ হাজার ৭৫৭ জন। ভোট কেন্দ্র ১৪টি। এই পৌরসভাতে মোট ৫ জন প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। স্থানীয় ভোটারদের দেয়া তথ্যমতে এখানে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফজলুর রহমান ফজলু ও ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির প্রার্থী অলিউর রহমানের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
কুলাউড়া পৌরসভার মোট ভোটার ১৮ হাজার ১০০ জন। কেন্দ্র ৯টি। এই পৌরসভাটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দলের বিদ্রোহী সহ ৪ মেয়র প্রার্থী। স্থানীয় ভোটারদের দেয়া তথ্যমতে ওখানে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীকের অধ্যক্ষ একেএম শফি আহমদ সলমান ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ধানের শীষের কামাল উদ্দিন আহমদ জুনেদের মধ্যেই হবে মূল নির্বাচনী লড়াই।
বড়লেখা পৌরসভায় মোট ভোটার ১৩ হাজার ৩৩৫ জন। ভোট কেন্দ্র ৯টি। দলের বিদ্রোহীসহ মোট মেয়র প্রার্থী ৬ জন। ভোটারদের দেয়া তথ্যমতে এখানে মূলত ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু ইমাম মো. কামরান, বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম ও জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত মোবাইল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী খিজির আহমদের মধ্যে হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।
কমলগঞ্জ পৌরসভায় মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৩১ জন। দলের বিদ্রোহী প্রার্থীসহ এই পৌরসভাতে মোট প্রার্থী ৭ জন। শেষমেশ এখানে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জুয়েল আহমদ ও বিএনপির মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আবু ইব্রাহীম মো. জমসেদের মধ্যেই হবে মূল নির্বাচনী ভোটযুদ্ধ- এমনটি ধারণা ভোটারদের। তবে ভোটারদের এমন জল্পনাকল্পনা আর হিসাবনিকাশের মিল-অমিল কিংবা গরমিলের মীমাংসা হবে ৩০শে ডিসেম্বর ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট দানের মধ্য দিয়ে।
মৌলভীবাজার সদর পৌরসভায় মোট ভোটার ৩৮ হাজার ৭৫৭ জন। ভোট কেন্দ্র ১৪টি। এই পৌরসভাতে মোট ৫ জন প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। স্থানীয় ভোটারদের দেয়া তথ্যমতে এখানে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফজলুর রহমান ফজলু ও ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির প্রার্থী অলিউর রহমানের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
কুলাউড়া পৌরসভার মোট ভোটার ১৮ হাজার ১০০ জন। কেন্দ্র ৯টি। এই পৌরসভাটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দলের বিদ্রোহী সহ ৪ মেয়র প্রার্থী। স্থানীয় ভোটারদের দেয়া তথ্যমতে ওখানে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীকের অধ্যক্ষ একেএম শফি আহমদ সলমান ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ধানের শীষের কামাল উদ্দিন আহমদ জুনেদের মধ্যেই হবে মূল নির্বাচনী লড়াই।
বড়লেখা পৌরসভায় মোট ভোটার ১৩ হাজার ৩৩৫ জন। ভোট কেন্দ্র ৯টি। দলের বিদ্রোহীসহ মোট মেয়র প্রার্থী ৬ জন। ভোটারদের দেয়া তথ্যমতে এখানে মূলত ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু ইমাম মো. কামরান, বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম ও জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত মোবাইল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী খিজির আহমদের মধ্যে হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।
কমলগঞ্জ পৌরসভায় মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৩১ জন। দলের বিদ্রোহী প্রার্থীসহ এই পৌরসভাতে মোট প্রার্থী ৭ জন। শেষমেশ এখানে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জুয়েল আহমদ ও বিএনপির মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আবু ইব্রাহীম মো. জমসেদের মধ্যেই হবে মূল নির্বাচনী ভোটযুদ্ধ- এমনটি ধারণা ভোটারদের। তবে ভোটারদের এমন জল্পনাকল্পনা আর হিসাবনিকাশের মিল-অমিল কিংবা গরমিলের মীমাংসা হবে ৩০শে ডিসেম্বর ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট দানের মধ্য দিয়ে।
