নিউজ ডেস্কঃ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মানবতা বিরোধী ২ অপরাধীর বিচার কার্যক্রম, নিরাপত্তা ঝুঁকি, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরাসহ সার্বিক দিক বিবেচনায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। বিমান বন্দরের সামনে প্রধান সড়কেই পুলিশের জলকামান রয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছেন। প্রধান সড়কেই পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনি রাখা হয়েছে। বিমানযাত্রীদের পাসপোর্ট দেখিয়ে টার্মিনালে প্রবেশ করতে হচ্ছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে দর্শনার্থী এবং গণমাধ্যম কর্মীদের বিমান বন্দরের প্রবেশের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। বিকাল ৫টা নাগাত চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া। তার আগমন উপলক্ষে আগ থেকেই বিমান বন্দর এলাকায় দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়েছেন। দলের মুখপাত্রের দায়িত্বে থাকা ড. আসাদুজ্জামান রিপন এবং দলের ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে নিরাপত্তা বেষ্টনি থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। তাদেরকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এদিকে খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খন্দকার ও ফজলুল হক মিলনকেও নিরাপত্তা বেষ্টনি পেরিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। খন্দকার মাহবুব হোসেন পুলিশি বাধায় পেয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদেরকে বলেন, সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা জোরদারের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। ভেতরে প্রবেশ করতে না দেয়া সরকারের অগণতান্ত্রিক অাচরণ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এছাড়া দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, যুব বিষয়ক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী ভেতরে প্রবেশ করতে না পারায় প্রধান ফটকের সামনেই অবস্থান নিয়েছেন।
