ফেসবুকে শেয়ারের ফাঁদ, পড়েছেন কি আপনিও?

ফেসবুকে শেয়ারের ফাঁদ, পড়েছেন কি আপনিও?
অনলাইন ডেস্কঃ বেশ কয়েক বছর আগের ঘটনা, ফটোকপি করা একটি কাগজ হাতে এল। তাতে ইসলাম সম্পর্কিত একটি ঘটনার বর্ণনা দেয়া আছে। আর তার নিচে লেখা আছে এই কাগজটির ২০টি কপি ফটোকপি করে ২০ জন মানুষকে দিতে হবে। যদি কাগজটি হাতে পাওয়ার পর কেউ তা না করে তাহলে তার বড় কোন ক্ষতি হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, কি ক্ষতি হতে পারে তার একটি লোমহর্ষক বর্ণনাও ওই কাগজে দেয়া থাকত। পরে অনেক অনুসন্ধানের পর জানা গেল, এটি ফটোকপির দোকানদাররা ইচ্ছাকৃতভাবে করেছে যেন তাদের ব্যবসা ভালো হয়। সেই যুগ তো গিয়েছে, এখন ডিজিটাল যুগ। তাই ওই একই ব্যাপার এখন ডিজিটালভাবে ঘটছে। যারা ফেসবুক ব্যবহার করেন তারা নিশ্চয়ই দেখেছেন বা লক্ষ্য করেছেন, মাঝে মাঝে কিছু কিছু পোষ্ট দেখা যায় যেখানে বলা হয়ে থাকে দয়া করে পোষ্টটি অবশ্যই শেয়ার করবেন। আর সেটি দেখে অনেকে করেনও তাই। এবার আসি মুল বিষয়টিতে। ফেসবুকে মানুষকে আরোপিতভাবে পোষ্ট শেয়ার করানোর জন্য ২টি বিষয়কে বেছে নেয়া হয়। প্রথমটি হচ্ছে মানবিক বিষয় আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে ধর্ম। মানবিক বিষয়ে থাকে কেউ হয়ত খুব অসুস্থ কিন্তু টাকার জন্য চিকিৎসা হচ্ছে না, কেউ হয়ত হাসপাতালে আছে কিন্তু তার পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে না অথবা বাচ্চা বা কোন নারীর হারিয়ে যাওয়া ইত্যাদি। আর ধর্ম সম্পর্কিত পোষ্টগুলোতে যেসব বিষয় বেশী থাকে তার মধ্যে কোরআনের কোন আয়াত, ধর্মীয় কোন ঘটনা, নবীজির ব্যবহৃত কোন জিনিসের ছবি অথবা ধর্মীয় কোন লেখা। মানবিক বিষয় নিয়ে তৈরি পোষ্টগুলো শেয়ার করার জন্য মানুষের নরম হৃদয়কে কাজে লাগানো হয়। তবে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে তৈরি পোষ্টগুলো শেয়ার করার জন্য রীতিমত ধর্মভীরু মানুষকে জোড় করা হয় এবং ক্ষেত্র বিশেষে পরকালের ভয়ও দেখানো হয়। এখন নিশ্চয়ই আপনার মনে প্রশ্ন জাগছে, কি লাভ এসব করে? অনেক লাভ। একটি গ্রুপ বা পেইজকে জনপ্রিয় করার জন্য তাকে অনেক মানুষের কাছে ছড়িয়ে দেয়া খুবই গুরুত্বপুর্ণ। এটি ফেসবুকের মাধ্যমেও করা যায় তবে তাতে অনেক টাকা লাগে। আর এভাবে করলে সেটি ফ্রীতে করা সম্ভব। ফেসবুক আপনাকে তাই দেখায় যাতে আপনার উৎসাহ আছে। তাই যখন আপনি কোন পোষ্টে লাইক বা শেয়ার দেন ফেসবুক ধরে নেয় ওই বিষয়টি নিয়ে আপনার আগ্রহ আছে। পরবর্তীতে সেই গ্রুপ বা পেইজের পোষ্ট আপনার ওয়ালে দেখায়।

Post a Comment

Previous Post Next Post