স্টাফ রিপোর্টারঃ সামাজিক যোগাযোগ সাইটের মধ্যে জনপ্রিয়ে ফেসবুক। এখন মানুষ আসক্ত হয়ে পড়েছে ফেসবুকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেসবুকে সময় দেয়, চলে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, প্রেমিক-প্রেমিকার প্রেম চলে সারাক্ষণ ফেসবুকে। কেউ কেউ আবার নতুন সঙ্গীনি খোঁজার অপেক্ষায় থাকে ফেসবুকে। তবে বর্তমান সময়ে ব্যবসার মূল হাতিয়ার হলো ফেসবুক। যেমন- ই-কমার্স, এফ-কমার্স ইত্যাদি ব্যবসা চলে ফেসবুকে। তবে কেউ কেউ আবার ফেসবুককে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হিসেবে নিচ্ছে। ফেসবুক নিয়ে যত কিছুই করা হোক না কেন, এই ফেসবুক থেকে যত দূরে থাকা যাবে ততই আপনার জন্য মঙ্গল, থাকবে অনেক খুশি। ডেনমার্কের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক হ্যাপিনেস রিসার্চ ইনস্টিটিউটঢে গবেষকরা এমনটাই বলা হয়েছে। ডেনমার্কে ১০৯৫ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর এক সমীক্ষা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে এসেছেন গবেষকরা। যাদের মধ্যে ৯৪ শতাংশই ফেসবুকে আসক্ত। তাদের দুটি দলে ভাগ করে সমীক্ষাটি চালানো হয়। অর্ধেককে ফেসবুক ব্যবহার করতে দেয়া হয়, বাকি অর্ধেককে ফেসবুক থেকে বিরত রাখা হয়। এক সপ্তাহ পর দেখা যায়, যারা ফেসবুক করছিলেন না, তাদের মধ্যে ৮৮ শতাংশ স্বেচ্ছাসেবকই খুশি হয়েছেন। যারা ফেসবুক নিয়মিত করছিলেন, তারা নিজেদের আরও একাকী ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত বোধ করছিলেন। গবেষকরা বলছেন, হাতে বাড়তি সময় থাকলে বন্ধুদের সঙ্গে সামনাসামনি কথা বলুন। গবেষকদের বক্তব্য, আমাদের কী চাই, তার উপর মনোযোগ দেয়ার বদলে ফেসবুক আমাদের অন্যদের জন্য কী রয়েছে-তার উপর গুরুত্ব দিতে শেখায়। সংস্থার সিইও মাইক উইকিং বলছেন, কয়েকদিন ফেসবুক করার কথা ভুলে নিজের কাজে মন দিয়ে দেখুন, আরও দ্রুত ও খুশি মনে আপনি আপনার কাজ শেষ করতে পারবেন।
