উত্তেজনার ম্যাচে ১ রানে হেরে গেলো সিলেট সুপার স্টারস

উত্তেজনার ম্যাচে ১ রানে হেরে গেলো সিলেট সুপার স্টারস
স্পোর্টস ডেস্কঃ চিটাগং ভাইকিংসের দেয়া ১৮১ রানের লক্ষ্যমাত্র তাড়া করতে নেমে মুশফিক-মুনায়ুয়ারার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পরও শেষ মুহূর্তে ১ রানে হেরে গেলো সিলেট সুপার স্টারস। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১৭৯ রান তুলে সুপার স্টারস। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন মুনায়ুয়ারা। এছাড়া নুরুল হাসান করেন ৩২ রান। মুশফিক ব্যক্তিগত ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন। এর আগে সোমবার দুপুরে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সিলেটের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। জবাবে ভাইকিংসের ইনিংসের শুরুতে দলীয় ৭ রানের মাথায় ব্যক্তিগত শুণ্য রান করে শুভাশিস রায়ের বলে মুমিনুল হকের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন তিলকরত্নে দিলশান। এর পর ইয়াসিরকে নিয়ে জুটি গড়েন তামিম। দলীয় ৯৩ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৬৯ রান করে অজন্তা মেন্ডিসের বলে মো.শহীদের হাতে স্লিপে ধরা পড়েন তামিম ইকবাল। পরের ওভারেই মুনায়ুয়ারার বলে ব্যক্তিগত ৩ রানে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন বিজয়। দলীয় ১৩৮ রানের মাথায় ২০ রান করা মেন্ডিস শহীদের বলে মুশফিকের হাতে তালুবন্দি হন। ইনিংসের শেষ বলে রান আউটের শিকার হন ৬৩ রান করা ইয়াসির আলী। এছাড়া জিয়াউর রহমান ৭ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। আর শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ভাইকিংসের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮০ রান। সিলেট সুপার স্টারের পক্ষে মোহাম্মদ শহীদ, শুভাশিস রায়, অজন্তা মেন্ডিস এবং মুনায়ুয়ারা ১টি করে উইকেট লাভ করে। দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের লক্ষ্যে সিলেটের পক্ষে দারুণ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন মুনায়ুয়ারা। মাত্র ৩০ বলে ব্যক্তিগত ৬৪ রান করে সাঈদ আজমলের বলে মেন্ডিসের হাতে ধরা পড়েন মুনায়ুয়ারা। ৫ রান করে শফিউলের বলে বোল্ড হন জুনায়েদ সিদ্দিকী এবং ২ রান করে আজমলের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফিরের মুমিনুল হক। এর পর নুরুলকে নিয়ে জুটি গড়েন মুশফিক। কিন্তু শফিউলের উপর্যুপরি আঘাতে কোণঠাসা হয়ে পড়ে সিলেট। মুশফিক, মুনায়ুয়ারা ও নুরুল হাসান ছাড়া বাকি ব্যাটসম্যানরা কেউই ডাবল ফিগারে পৌঁছুতে পারেননি। চিটাগং ভাইকিংসের পক্ষে ২৫ রানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন শফিউল ইসলাম। এছাড়া আজমল পান ২ উইকেট।

Post a Comment

Previous Post Next Post