তারেক হাসানঃ হাকালুকি হাওর পারের জলাবদ্ধ মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। বাড়ি ঘর ডুবে যাওয়ায় অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন আত্মীয় স্বজনের বাড়ি ও আশ্রয় শিবিরগুলোতে। বিভিন্ন স্থানে রাস্থা ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ভাদ্র চলছে এখন রোপা আমনের ধান ক্ষেত পানির নিচে। ফলে হতাশ হাওর পারের মানুষ। এবার ভাদ্র মাস শেষ হতে চললেও হাকালুকি হাওর তীরের চিত্র ভিন্ন। হাকালুকি হাওর তীরের সাদিপুর, কুরবানপুর, মদনগৌরী, গৌড়করণ, কানেহাত, বড়দল, জাব্দা, ভুকশিমইল ও চিলারকান্দি গ্রামে সরেজমিন গেলে স্থানীয় লোকজন জানান, ভাদ্র মাসে বন্যার পানি কমে যায়। ভেসে উঠে রোপা আমনের ধান ক্ষেত। হাওর তীরের কুলাউড়া উপজেলার ভুকশিমইল ইউনিয়নের মানুষের এখন চলাচলের একমাত্র ভরসা নৌকা। শুধু ভুকশিমইল নয় একই চিত্র জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের নিশ্চিন্ত পুর, শাহাপুর, রাজাপুর, মনোহরপুর, দিগলভাগ, প্রহ্ললাদপুর, পশ্চিম গবিন্দপুর, পশ্চিম জায়ফরনগর, ভূয়াই ও মোহাম্মদপুর এলাকার প্রায় ১০হাজার মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পরেছেন। শাহাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশ্রয় শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন ৮টি পরিবারের প্রায় ৫০জন সদস্য। আশ্রয় গ্রহনকারী কবির মিয়া, ফয়াজ মিয়া ও দিলারা বেগম জানান ১ সপ্তাহ থেকে বিশুদ্ধপানির অভাব ও বিদ্যালয়টির শৌচাগার পানির নিছে থাকায় অন্যত্র তাদের যেতে হয়। এখন পর্যন্ত তাদের সরকারী বা বে-সরকারীভাবে কোন সহযোগিতা করা হয়নি। এছাড়াও গবাদী পশুর গো-খাদ্য নিয়ে পানিবন্দিরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন যাপন করছেন। হাকালুকি হাওর তীরে এবার ভাদ্র মাসে অন্য বছরের তুলনায় অধিক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আশ্বিন মাসেও হাওর তীরের মানুষ পানিবন্দি থাকবে।