উঠতেও টাকা নামতেও টাকা

উঠতেও টাকা নামতেও টাকা
উঠতেও টাকা নামতেও টাকা
নিউজ ডেস্কঃ স্বল্প খরচে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের একমাত্র বাহন বাংলাদেশ রেলওয়ে। রোজার ঈদ ও কোরবানির ঈদে রাজধানী থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় ছেড়ে যাওয়া কিংবা বিভিন্ন জেলা থেকে রাজধানীমুখী আসা সব ধরনের ট্রেনে উপছেপড়া ভিড় থাকে যাত্রীদের। যাত্রীদের বেশিরভাগই যাতায়াত করে ট্রেনের ছাদে। সাধারণত স্বল্প আয়ের মানুষই জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে যাতায়াত করে থাকেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, যাত্রীদের ছাদে উঠানোর জন্য বিভিন্ন স্টেশনে সংঘবদ্ধ দল তৈরি হয়। দেশের বড় জংশনগুলোতে একাজে নিয়োজিত থাকে একাধিক গ্রুপ। প্রত্যেক গ্রুপে থাকেন একজন দলনেতা। রাজধানীর কমলাপুর, টঙ্গী, জয়দেবপুর, ভৈরব, আখাউড়া, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কুমিল্লা, খুলনাসহ বিভিন্ন স্টেশনে ঈদের কয়েকদিন আগেই গ্রুপগুলো চুড়ান্ত হয়ে যায়। জানা গেছে, ট্রেনের ছাদে যারা যাতায়াত করেন তাদেরকে জনপ্রতি একশ টাকা থেকে দেড়শ টাকা দিতে হয়। এই টাকার অর্ধেক পান রেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ট্রেনের ছাদে যারা যাত্রীদের তুলে দেন তারা জনপ্রতি পেয়ে থাকেন ২০ টাকা। আবার নির্দিষ্ট গন্তব্যে নামার সময়ও ২০ টাকা করে দিতে হয় যাত্রীদের। ট্রেনের ছাদে কেউ উঠতে চাইলে তা একার পক্ষ্যে সম্ভব নয়। সংঘবদ্ধ দলের সদস্যরা আগেই ছাদে উঠেন। এর পর যাত্রীদের টেনে তুলেন তারা। প্রতিটি বগি গ্রুপগুলো ভাগাভাগি করে নেন। ভাল জায়গায় বসতে হলে বাড়তি টাকা দিতে হয়। ট্রেনের ছাদে বসেই প্রস্রাব ও পায়খানা সারেন কেউ কেউ। এর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করে থাকেন গ্রুপের লোকেরা। তার জন্যও বাড়তি টাকা দিতে হয়। ট্রেনের ছাদে পুরুষের সমানতালে নারীরাও যাতায়াত করেন। শিশু বাচ্চা নিয়েও অনেকে যাতায়াত করেন। সব মিলিয়ে দেখা যায় বৈধভাবে ট্রেনের টিকিট কেটে যাতায়াত করতে যে পরিমাণ টাকা ব্যয় হয়, ঝুঁকি নিয়ে ছাদে যারা যাতায়াত করেন তাদের প্রায় সমপরিমাণ টাকা খরচ হয়ে যায়। জানা গেছে, বিভিন্ন স্টেশনে যারা যাত্রীদের মালামাল বহন করে থাকেন তারাই মূলত ট্রেনের ছাদে যাত্রী উঠানোর কাছে নেমে পড়েন।
সুত্রঃ 24bdtimes

Post a Comment

Previous Post Next Post