নিউজ ডেস্কঃ সরকারি ঋণ দাতা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বহীনতার কারণে এনজিও’র দিকে ঝুঁকে পড়েছে দরিদ্র ঋণ গ্রহিতারা। সরকার দারিদ্র বিমোচন দূরীকরণের জন্য স্বল্প সুদে ঋণ প্রদান, বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ঋণ প্রদানসহ বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিলেও তা নিম্নবিত্তরা পাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ লক্ষ্যে স্বল্প মেয়াদে, স্বল্প সুদে, ক্ষুদ্র কুটির শিল্প, কৃষি, হাঁস-মুরগি পালন, মৎস্য চাষ, অপ্রধান শস্য উৎপাদন, গরু মোটা তাজাকরণ ও ছোট ছোট শিল্প কারখানা গড়ে তোলার জন্য সরকারি ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ নিদের্শের প্রেক্ষিতে দেশের প্রতিটি এলাকার নিম্নবিত্ত, দরিদ্র জনগোষ্ঠী উল্লেখিত বিষয়ে কাজ করার জন্য সরকারি ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানে গেলে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা এদেরকে ঋণপ্রদানের নামে বিভিন্ন হয়রানি করে বলে ভুক্তভোগিরা অভিযোগ করেন। তারা জানান, ব্যাংক, সমাস সেবা, যুব উন্নয়ন, পজীব, একটি বাড়ি একটি খামার, বিএরডিবি, মহিলা বিষয়কসহ অন্যান্য সরকারি ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান ঋণ প্রদানের নামে কাল বিলম্ব করতে থাকে। এরপরও যদি ঋণ গ্রহণ করা হয় এতে দালাল সম্প্রদায় এক অংশ, কর্মকর্মতা কর্মচারীর বকশিসের নামে এক অংশসহ ঋণের সিকি ভাগ চলে যায়। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে ৭৫ শতাংশ দরিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী লোকজন ঋণ পায়না। ফলে তারা বাধ্য হয়ে চড়া সুদে এনজিও সংস্থার ঋণ নিতে বাধ্য হয় বলে তারা জানান। অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংক দারিদ্র বিমোচনের দূরীকরণের লক্ষ্যে সরকারি ব্যাংক ও ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সমূহে স্বল্প সুদে, স্বল্প মেয়াদে ও সহজ পদ্ধতিতে ঋণ প্রদান করার কথা থাকলেও তা করা হয়না। এ কারণে বাংলাদেশের আনাচে কানাচে এনজিও সংস্থা বৃদ্ধি পাচ্ছে নিয়ে যাচ্ছে দরিদ্র লোকজনের হাজার হাজার কোটি টাকার কষ্টার্জিত অর্থ।